atv sangbad

Blog Post

atv sangbad > প্রচ্ছদ > শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকীতে ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতি শ্রদ্ধা

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকীতে ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতি শ্রদ্ধা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক,
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার ( ৮ আগষ্ট) সকালে বনানী কবরস্থানে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা জানানো শেষে মোনাজাত, মিলাদ ও দোয়া পড়েন নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুল মতিন খসরু, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক সামসুন্নাহার চাঁপা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আ খ ম জাহাঙ্গির, রিয়াজুল কবির কাউসার, গোলাম রাব্বানী চিনু উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকর্মীরাও শেখ ফজিলাতুন্নেছার মুজিবের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

১৯৩০ সালের ৮ অগাস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে তিনিও নিহত হন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক সহযোদ্ধা।

“বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তি যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে শুধু বাঙালির জাতির পিতা আর বাংলাদেশের স্রষ্টাই হননি, তিনি হয়ে উঠেছিলেন একজন বিশ্ববরেণ্য রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক। আর এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তারই সহধর্মিণী ও বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের সহযোদ্ধা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।”

ওবায়দুল কাদের বলেন, “বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাক অর্থাৎ ৭ই মার্চের ভাষণের আগ মুহূর্তে বঙ্গমাতাই জাতির পিতাকে চূড়ান্ত অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন। জাতির পিতার আমৃত্যু সঙ্গী মহীয়সী নারী, দেশের স্বাধীনতাসহ সকল গৌরব অর্জনের নেপথ্য প্রেরণাদাত্রী বঙ্গমাতা মুজিব।”

তিনি বলেন, “বঙ্গমাতা বেগম মুজিবের সাথে বিশ্বের আরেক খ্যাতিমান নারী এলিনর রুজেভেল্টের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে, এলিনর রুজেভেল্ট যুক্তরাষ্ট্রের চারবার নির্বাচিত ও দীর্ঘকালীন সময়ের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের স্ত্রী।

“বেগম মুজিব আর এলিনর রুজভেল্ট দুজনেই শৈশবে তাদের বাবা-মাকে হারিয়েছিলেন, দুজনেই তাদের চাচাতো ভাইকে বিয়ে করেছিলেন আর দুজনেই তাদের স্বামীর রাজনীতিতে অসামান্য ভূমিকা রেখেছিলেন।

“তবে তাদের দুজনের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে- শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব একটা রাষ্ট্রের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ অবদান রেখেছিলো, আর এলিনর রুজভেল্টে তা হয়নি।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :