অনুসন্ধানী প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ
সংবাদের শিরোনাম অনেকটাই বুঝিয়ে দেয় শেষটা কি হবে? জীবনের সিংহভাগ সময় দলের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করে আজ কেনো নিভৃতে? কি এমন অন্যায় ছিল মানবিক এ নেতার? আমাদের প্রতিবেদন রয়েছে খুলনা মহানগর ২২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া রতন। রাজপথ কাঁপানো নেতা হিসেবে খুলনা মহানগরের সকলেই চেনে তাঁকে। আওয়ামীলীগের নিবেদিতপ্রাণ তুখোড় এ নেতা কেনো এখন আড়ালে? এ প্রশ্ন এখন জনমনে।
ছাত্র জীবন থেকেই তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে শতস্ফুর্তভাবে জড়িত। ছাত্র বয়স থেকেই দাপটের সাথে সামলিয়েছেন খুলনা মহানগর এর নানান গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব।
গোলাম কিবরিয়া রতন ছিলেন ২২ নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সদস্য, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক, ২২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি, খুলনা মহানগর যুবলীগের সম্মানিত সদস্য। ২০১২’র সম্মেলনে সাধারণত সম্পাদকের পদটি পান এবং সফলতার সাথে ২০১৮ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সালে আওয়ামীলীগের দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীও ছিলেন তিনি।
২০১৯’র সম্মেলনে হারিয়েছেন নানান গুরুত্বপূর্ণ পদ। বর্তমানে তাঁকে সক্রিয়ভাবে রাজপথে দেখা যায় না, আছেন অনেকটাই পর্দার আড়ালে। রাজনৈতিক জীবনে তাঁর রয়েছে আওয়ামীলীগের সাথে এক অন্তরঙ্গ সম্পর্ক তবুও আজ তিনি রয়েছেন পদবী বঞ্চিত। এলাকায় তাঁর রয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা তবুও তিনি আড়াল করছেন নিজেকে।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনে আওয়ামীলীগের একজন নিবেদিত কর্মী হয়ে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সবার সামনে থেকে দিয়েছেন নেতৃত্ব বর্তমানে তাঁর পদ বঞ্চিত হবার জন্য অনেকেই করেছেন দুঃখ প্রকাশ। গোলাম কিবরিয়া রতনের মতো যোগ্য নেতৃত্ব আজ অবহেলায় এটি মেনে নিতে পারছেন না তাঁর সহকর্মীসহ এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ।
জীবন বিসর্জন দিয়ে দলের জন্য যারা নিবেদিত হয়ে কাজ করছেন, তারা যদি হয় নেতৃত্ব বঞ্চিত তাহলে এ দুঃখ রাখার জায়গা কোথায়? বাংলাদেশ সরকারের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও দলীয় প্রধান অবশ্যই বিষয়টি নজরে আনবেন এবং দলের জন্য যারা সক্রিয় ও নিবেদিত তাঁরা কেন আজ অবহেলিত বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
