জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে দুটি রাজ্যের উপদ্রুত এলাকাগুলোতে জার্মান সেনাবাহিনী তাদের বড় সাঁজোয়া যান ও হেলিকপ্টার নিয়ে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে। ফায়ার সার্ভিস ও স্বেচ্ছাসেবীরা শুক্রবার রাতেও সার্চলাইট জ্বালিয়ে দুর্গম এলাকাগুলোতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছেন। জার্মান সেনাবাহিনীর কয়েক শ সৈন্য ও জার্মান টেকনিক্যাল সাহায্য সংস্থার কর্মীরাও ভারী উদ্ধারসামগ্রী নিয়ে দিন–রাত কাজ করছেন। এদিকে আবহাওয়াবিদেরা ওই এলাকায় আরও বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন এ মুহূর্তে কূল উপচে পড়া নদীর এলাকাগুলোতে নৌ, সড়ক ও রেল চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
ইউরোপজুড়ে বিপর্যয়
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ইউরোপে ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ১২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই পশ্চিম জার্মানির। জার্মানির বিল্ড পত্রিকা এ ভয়াবহ বন্যাকে ‘মৃত্যুর বন্যা’ বলে আখ্যা দিয়েছে। জার্মানির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত ১০৩ জন মারা গেছেন সেখানে। নিখোঁজ এক হাজারের বেশি। সেখানকার ২১ বছর বয়সী ডেকোরেটকর এগ্রন বেরিসকা বলেন, ১৫ মিনিটের মধ্যেই সবকিছু পানির নিচে তলিয়ে যায়।
জার্মানির পাশাপাশি বেলজিয়ামেও বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বেলজিয়ামে বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা ২৩ ছাড়িয়েছে। নেদারল্যান্ডস ও লুক্সেমবার্গেও বন্যা পরিস্থিতির নাজুক অবস্থা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় এমন ভয়াবহ অবস্থা দাঁড়িয়েছে। বড় নদীগুলোর পানি বেড়ে তীর ছাড়িয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। অসংখ্য বাড়িঘর ধসে পড়েছে।
নেদারল্যান্ডসের রাজা উইলেম-আলেকজান্ডার ও রানি ম্যাক্সিমা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শহর ভ্যাল্কেনবার্গের বাসিন্দা ও জরুরি সেবাদাতাদের প্রতি সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে গত বৃহস্পতিবার সে অঞ্চলটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।