দিনাজপুর প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
দিনাজপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের গাড়ি ও সরঞ্জাম ভাঙচুর এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত ২৬ এপ্রিল কাহারোল থানা ফায়ার সার্ভিসের লিডার আব্দুল খালেক বাদী হয়ে ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে এ মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৫ এপ্রিল রাত ৮টা ১৯ মিনিটে দশমাইল এলাকায় আরিফ ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে কাহারোল ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে যাওয়ার পর পাম্পের কর্মচারী ও অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জন লোহার অ্যাংগেল, লাঠি এবং ইট দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকে।
এ সময় তাদের বাধা দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে ফায়ারের গাড়ির চালক আব্দুল মোত্তালেবের বাম কানের নিচে লোহার অ্যাংগেল দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে এলে আসামিরা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের মারধর করতে না পারায় অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং হুমকি দিতে থাকে। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. রেজাউল করিম ও চালক আব্দুল মোত্তালেবকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রংপুর বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান বলেন, কাহারোল ফায়ার স্টেশনের মাত্র একটি পানিবাহী গাড়ি তাও উচ্ছৃঙ্খল জনতা ভাঙচুর করায় কাহারোল এলাকায় অগ্নিনির্বাপণ সেবা ব্যাহত হবে। আমরা অতি দ্রুত অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, একটি ফিলিং স্টেশনে অবশ্যই স্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকতে হবে। কিন্তু আরিফ ফিলিং স্টেশনে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম না থাকায় আগুনের ভয়াবহতা বেড়ে যায়।
এ ছাড়া এই প্রতিষ্ঠানটির কোনো ফায়ার লাইসেন্সও ছিল না।