হবিগঞ্জ প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে হবিগঞ্জের বানভাসি মানুষের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন। বন্যাদুর্গত জেলা হিসেবে সেতু উদ্বোধনে কোনো ধরনের বিনোদনের আয়োজন করা হয়নি। বরং বানভাসিদের সঙ্গে সেতু উদ্বোধনের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দুর্গম হাওরে সাজানো নৌকাভর্তি খাদ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির হন জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান।
এ আয়োজন দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে যায় বন্যার্ত মানুষ। এ সময় এসব এলাকার মানুষ স্লোগানে স্লোগানে উল্লাস করেন। গত শনিবার সকালে সেতু উদ্বোধনের অনুষ্ঠান শেষ করেই বিশাল আকৃতির সাজানো নৌকাভর্তি খাদ্যসামগ্রী নিয়ে হাওরে বের হন তিনি। জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি হাওরের অন্তত ১০টি স্থানে নৌকা নিয়ে হাজির হয় জেলা প্রশাসন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যসামগ্রী নিতে ভিড় করেন বন্যার্ত শতশত নারী-পুরুষ। খাদ্যবাহী নৌকা যে এলাকায় গেছে সেখানেই খুশির বন্যা বয়ে গেছে বানভাসি মানুষের মাঝে। এভাবে সন্ধ্যা পর্যন্ত খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের নৌকায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিন্টু চৌধুরী, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান জানান, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু বন্যার কারণে জমকালো সকল আয়োজন বাদ দেয়া হয়েছে। তাই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বন্যার্তদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি।
খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যাওয়াতে তাদের যে আনন্দ উচ্ছ্বাস দেখেছি তা সত্যিই ভোলার নয়। আশা করি অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই হবিগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
হবিগঞ্জে বানভাসি মানুষের সাথে যে ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছেন জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান তার ভূয়সী প্রশংসা করেন, এটিভি সংবাদের সম্পাদক এস এম জামান।