পটুয়াখালী প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আবুল বাসার নাসির এর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রাজ্জাক সিকদারকে (৭৬) মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) মির্জাগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
বর্তমানে ওই মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি ঢাকার রাজারবাগের পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা, যার গেজেট নং-৪৫০, আইডি নং-০১৭৮০০০১১১৭ এবং লালমুক্তি বার্তা নং- ০৬০৩০৬০০৮৫। এছাড়াও তিনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাহেবসহ-সভাপতি ছিলেন।
ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রাজ্জাক সিকদার অভিযোগ করে বলেন, গত সোমবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান নাসির তার অনুসারী বাপ্পি নামে এক ছেলেকে বাসায় আমাকে ডাকতে পাঠায়। পরে আমি এশার নামাজ শেষে থানা সংলগ্ন চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয়ে যাই। এসময় তিনি বলেন আপনার বাসার পাশের জমি আমি ক্রয় করেছি, তাতে আপনার বাসার ভিতরের জমিও পড়ছে, সে জমি আমাকে ছেড়ে দিতে হবে। তখন আমি তাকে বলি- আমি ১৯৯৯ সালে জমি ক্রয় করে আমার অংশে বাউন্ডারি টেনে দিয়েছে। এমন কথার উত্তরে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান বলেন- বাউন্ডারি টানলেই কী জায়গা দখল দেওয়া যায়, তুই আমকে চিনিস? ওই জমি ছেড়ে দিতে হবে। আমি এতে প্রতিবাদ করলে, সে আমার জামার কলার ধরে আমাকে মারধর করতে শুরু করলে তার ৫/৭ জন সহযোগী আমাকে অতর্কিতভাবে মারধর শুরু করেন। তখন আমি দৌড়ে একটি রিকশায় উঠে বাসায় চলে আসি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডঃ আবুল বাসার নাসির বলেন, তাকে আমি মারধর করিনি। তার উপর একটু উত্তেজিত হয়েছিলাম।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আনোয়ার বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ইউপি চেয়ারম্রান এ্যাডভোকেট আবুল বাসার নাসিরের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রাজ্জাক সিকদারের আনীত অভিযোগের তীব্র-নিন্দা জানিয়েছেন, এটিভি সংবাদ ডটকম’র সম্পাদক এস এম জামান।