atv sangbad

Blog Post

atv sangbad > সারাদেশ > বাসাইলে টমেটোর বাম্পার ফলনেও কৃষকেরা দিশেহারা!

বাসাইলে টমেটোর বাম্পার ফলনেও কৃষকেরা দিশেহারা!

ছানোয়ার হোসেন, বাসাইল (টাঙ্গাইল), এটিভি সংবাদ 

টাঙ্গাইলে অন্যান্য বছরের তুলনায় টমেটোর ফলন হয়েছে বেশ ভালো। ভালো ফলন হওয়া সত্ত্বেও বাজারে টমেটোর দাম ও চাহিদা তুলনামূলকভাবে একেবারেই কম। ক্ষেত থেকে টমেটো তুলতে শ্রমিকের খরচও উঠাতে পারছেন না চাষীরা।

বাজারে নিয়েও বিক্রি করতে না পেরে টমেটো ফেলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। বিক্রি করতে না পেরে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে অসংখ্য কৃষকের টমেটো। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের টমেটো চাষীরা।

জানা যায়, টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় এবার ৭শ’ ৭৩ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের টমেটোর আবাদ করা হয়েছে। এবার এ অঞ্চলে ফলনও হয়েছে বাম্পার। বাজারে টমেটো বিক্রির শুরুতে ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকা মণ দরে বিক্রি করা যেতো। কিন্তু বর্তমানে বাজারে সর্বোচ্চ ২শ’ টাকা মণ করে বিক্রি করা যাচ্ছে।

সরেজমিনে জেলার বাসাইল উপজেলার আদাজান গ্রামে গিয়ে চোখে পড়ে বিশাল চক। এই চকে টমেটো, কাঁচা মরিচ, বেগুন, ডাটা, শসা, আলু, গম, ভূট্টাসহ বিভিন্ন ধরণের কৃষি আবাদ করা হচ্ছে। সেখানে কথা হয় টমেটো চাষী মালম খানের সাথে। তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় ৮০ শতাংশ জমিতে টমেটোর আবাদ করেছি। এ পর্যন্ত আমার খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। বাজারে দুইশত টাকা মণ করে টমেটো বিক্রি করতে হচ্ছে। যেখানে
অন্যান্য বছর বিক্রি করতাম ৬শ’ থেকে ৮শ’ টাকা মণ। টমেটো তুলতে শ্রমিক ও বাজারে নেওয়ার খরচই উঠছে না। এখন টমেটো ক্ষেতেই পচে যাচ্ছে।

টমেটো চাষী লতিফ বলেন, ‘আমি ৫০ শতাংশ জমিতে টমেটোর আবাদ করেছি। এ পর্যন্ত আমার ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজারে টমেটোর দাম একেবারেই কম। বাজারে ২ টাকা থেকে ৩ টাকা কেজি দরে টমেটো বিক্রি হচ্ছে। অনেক সময় বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে না পেরে ফেলে দিয়েও আসতে হচ্ছে। টমেটো তুলতে শ্রমিক ও বাজারে নেওয়ার জন্য গাড়ির খরচই উঠছে না।

জহুরা নামের এক কৃষানি বলেন, ‘আমরা ৪০ শতাংশ জায়গায় টমেটোর আবাদ করেছি। আমার খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। এখন আর বিক্রি করতে পারছিনা, এজন্য টমেটো ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে। এবার আমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।

বাসাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজনীন আক্তার বলেন, বাসাইলে প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের হাইবিট ও স্থানীয় জাতসহ কৃষকরা টমেটোর আবাদ করেছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ফলন বেশ ভালো। কৃষকরা এই মূহুর্তে বাজারে বিক্রি করছেন। তবে যেহেতু এটা শীতকালীন মৌসুমের একেবারে শেষ পর্যায়ে। এই মূহুর্তে এসে চাষীরা কাঙ্খিত বাজার মূল্য পাচ্ছেন না।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :