atv sangbad

Blog Post

atv sangbad > আন্তর্জাতিক > বেলারুশে দেড় লাখ মানুষের বিক্ষোভ

বেলারুশে দেড় লাখ মানুষের বিক্ষোভ

দেশের বাহিরে ডেস্ক:
আগে থেকে হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। সেনা মোতায়েন করা হবে। গোলমাল করলে কড়া হাতে মোকাবিলা করা হবে। তা সত্ত্বেও বেলারুশের রাজধানী শহর মিনস্কে রোববার বিক্ষোভকারীদের ঢল। এতদিনের মধ্যে সব চেয়ে বড় বিক্ষোভ হলো প্রেসিডেন্টের হুমকিকে উড়িয়ে দিয়ে।
বিক্ষোভে কত লোক হয়েছিল, তা সরকারিভাবে জানানো হয়নি। সংবাদসংস্থা এপির হিসাব, অন্ততপক্ষে লাখ দেড়েক লোক জমায়েত হয়েছিলেন স্বাধীনতা চত্বরে। দিন কয়েক আগে একবার লাখো লোকের জমায়ত হয়। এবার আকারে সেই জমায়েতকেও ছাড়িয়ে গেছে রোববারের বিক্ষোভ। ডয়চে ভেলে প্রতিনিধি নিক কনোলি জানিয়েছেন, সত্যিই বিশাল সমাবেশ ছিল। মাস কয়েক আগেও ভাবা যায়নি, বেলারুশে এত বড় বিক্ষোভ হতে পারে।
তবে যার পদত্যাগ ও নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দাবিতে এই বিক্ষোভ, সেই প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো এখনো তার মনোভাবে অনড়। রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা একটি ভিডিও আপলোড করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, লুকাশেঙ্কো প্রেসিডেন্ট হাউসের চত্বরে একটি হেলিকপ্টার থেকে নামলেন। তার হাতে কালাশনিকভ অটোমেটিক রাইফেল।রোববার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমে এক সময় জলকামানসহ সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীদের ছবি দেখানো হয়। তবে শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল। পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়নি। নিরাপত্তা বাহিনীর সাথেও কোনো সংঘর্ষ হয়নি।এক বিক্ষোভকারী জানিয়েছেন, “লুকাশেঙ্কো ৮০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন দেখে আমি অবাক। এটা মিথ্যা ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। এই নির্বাচন একেবারেই অবাধ হয়নি। আমি ওদের ক্ষমা করতে পারব না।”
এর আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়, সেনাবাহিনী জাতীয় স্মারকগুলো রক্ষার জন্য মোতায়েন থাকবে। এই সব ভবন, স্মারকের কাছে কোনোরকম গোলমাল বরদাস্ত করা হবে না। এই স্মারকগুলো পবিত্র। সেনা মোতায়েনের খবরে বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ আরো বাড়ে। এতদিন শুধু পুলিশ মোতায়েন করা হতো। রোববার থেকে সেনাও মোতায়েন করা হলো। অথচ বিক্ষোভকারীরা নিরস্ত্র। এর আগেই শনিবার সরকারি মিডিয়া জানিয়েছিল, লুকাশেঙ্কো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন, কড়াহাতে বিক্ষোভ মোকাবিলা করতে হবে। এ সবই ছিল লোককে ভয় দেখানো মাত্র। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীর সংখ্যায় রেকর্ড বৃদ্ধি হয়েছে।
বেলারুশ নিয়ে ইইউ এবং রাশিয়ার মধ্যেও কথার লড়াই চলছে। ইইউ বিক্ষোভকারীদের পক্ষে। ইইউর কূটনীতিক জোসেপ বরেল সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, বেলারুশকে দ্বিতীয় ইউক্রেন হতে দেয়া যাবে না। লুকাশেঙ্কোর মোকাবিলা করা এ জন্যই জরুরি। রাশিয়া আবার ইইউকে সাবধান করে দিয়ে বলেছে, তারা যেন বেলারুশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে। যদি দরকার হয় রাশিয়া হস্তক্ষেপ করবে। ইইউ যা করছে তা গঠনমূলক তো নয়ই এবং তা আলোচনার পথও প্রশস্থ করছে না।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :