atv sangbad

Blog Post

atv sangbad > জাতীয় > ভারতের কোভিড টিকার ট্রায়ালে ‘প্রস্তুত’ বাংলাদেশ

ভারতের কোভিড টিকার ট্রায়ালে ‘প্রস্তুত’ বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতের তৈরি সম্ভাব্য কোভিড-১৯ টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য বাংলাদেশ ‘প্রস্তুত’ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

বুধবার ( ১৯ আগষ্ট) ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের এ অবস্থানের কথা তুলে ধরেন তিনি।

সোনারগাঁও হোটেলে তাদের বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র সচিবকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, “ট্রায়ালসহ কোভিড-১৯ টিকা তৈরিতে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত। টিকা প্রস্তুত হলে সাশ্রয়ীমূল্যে শুরুতেই পেতে চায় বাংলাদেশ।”

১৩০ কোটি মানুষের দেশ ভারতে নিজেদের চাহিদা মেটাতেই বিপুল পরিমাণ টিকা উৎপাদন করতে হবে বলে দামও কিছুটা কমে আসবে।

এই সুবিধার কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্র সচিব শ্রিংলা বৈঠকে বলেন, ভারত সরকার এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গেও নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী।

কোনো টিকার চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে বিপুল সংখ্যক মানুষের শরীরে প্রয়োগ করে তার ফলাফল দেখতে হয়। পরীক্ষায় নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণিত হলেই সেই টিকা অনুমোদন পায়।

চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের করোনাভাইরাসের টিকা এখন তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া রাশিয়া প্রথম দেশ হিসেবে টিকা উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে।

এর মধ্যে চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেড তাদের তৈরি করা টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা বাংলাদেশেও করার পরিকল্পনা করেছিল। বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলও গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশে ওই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছিল।

ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে চীনা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কাজটি করার কথা ছিল আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র- আইসিডিডিআর,বির। বলা হয়েছিল, আগামী ১৮ মাস ধরে দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে। তবে সে বিষয়টি পরে ঝুলে যায়।

বিষয়টি যেহেতু ‘নতুন’, সেহেতু এ বিষয়ে সরকারের ‘উচ্চপর্যায় থেকে’ সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খুরশীদ আলম এর আগে জানিয়েছিলেন।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করা টিকার পরীক্ষা ও উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত হয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটি অফ ইন্ডিয়া (এসআইই)। দ্বিতীয় ধাপ থেকেই কোভিশিল্ড নামের ওই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে যাচ্ছে দেশটির সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী এই সংস্থা।

এরই মধ্যে মঙ্গলবার আকস্মিক সফরে বাংলাদেশে আসেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রিংলা। তার সঙ্গে বুধবারের ( ১৯ আগষ্ট) বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকার পরীক্ষায় বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণের প্রস্তাব দেন মাসুদ বিন মোমেন।

পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “কোভিড নিয়ন্ত্রণে ভারতের যে প্রচেষ্টা চলছে, আমরা জানি যে কিছু ভ্যাকসিন সেখানে ডেভেলপ করছে এবং ট্রায়ালও শুরু হয়ে গেছে। আমরা অফার করেছি যদি সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, ট্রায়ালের ক্ষেত্রে, তাহলে আমরা প্রস্তুত আছি।”

বাংলাদেশের প্রস্তাবে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ’সাড়া’ দিয়েছেন বলেও বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ।

তিনি বলেন, “তারাও প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে বলেছে, যে ভ্যাকসিনগুলো ডেভেলপ করছে, সেগুলো শুধু ভারতের জন্যই নয়, প্রথম দিকেই আমাদের জন্য সেটা অ্যাভেইলেবল’ করা হবে।

“এবং আমাদের যে ওষুধ কোম্পানিগুলো আছে, তাদেরও সক্ষমতা আছে। ‍সুতরাং তারা ওগুলোতে কলাবোরেশনের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে, সে ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়েছি।”

শ্রিংলাও সাংবাদিকদের বলেন, ভারত টিকা উৎপাদনে গেলে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রগুলো অগ্রাধিকার পাবে।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাদের জন্য বাংলাদেশ সব সময় অগ্রাধিকারে আছে।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :