রংপুর প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
যে দেশে হাসপাতালের বয় হয়ে যায় ডাক্তার, সে দেশের স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন হবে কি করে? এমন এক ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে রংপুরে। ভুয়া ডাক্তার ও ভুয়া নিবন্ধন ব্যবহার করে হাসপাতাল পরিচালনার অপরাধে নিউ ম্যাক্স কেয়ার জেনারেল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনিস্টিক সেন্টারকে এক লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে তিনদিনের মধ্যে রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (০২ জুন) সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর ধাপ চেকপোস্ট এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বে ছিলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারহান লাবিব জিসান। তাকে সহযোগিতা করেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা।
অনিবন্ধিত ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
অভিযানের সময় নিউ ম্যাক্স কেয়ার জেনারেল হাসপাতালে ওটি বয় ডাক্তারের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে হাসপাতাল পরিচালনার বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। অন্য প্রতিষ্ঠানের ভুয়া নিবন্ধন ব্যবহার করে হাসপাতাল পরিচালনা করে আসছিলো প্রতিষ্ঠানটি। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত ।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট ফারহান লাবিব জিসান জানান, অভিযানের সময়ে সেখানে একজন ওটি বয়কে চিকিৎসকের ভূমিকায় দেখা গেছে। তাছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানটি অন্য প্রতিষ্ঠানের ভুয়া নিবন্ধন ব্যবহার করে হাসপাতাল পরিচালনা করে আসছিল। ভুয়া ডাক্তার ও ভুয়া নিবন্ধন ব্যবহার করে হাসপাতাল পরিচালনা করায় নিউ ম্যাক্স কেয়ার জেনারেল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনিস্টিক সেন্টারকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে তিনদিনের মধ্যে রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে হাসপাতাল বন্ধেরও নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
রংপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আখতারুজ্জামান শুভ বলেন, চিকিৎসাক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কাজ করছে। রংপুরে নিবন্ধনহীন ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই অভিযান পরিচালনা করা হবে।