নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই শ্লোগান নিয়ে র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মাদক দ্রব্য উদ্ধারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে র্যাব। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তরুণ সমাজ ধ্বংসের সবচেয়ে আলোচিত এবং অন্যতম মাধ্যম হিসেবে মাদকদ্রব্যকে ব্যবহার করা হচ্ছে। সমাজে মাদকের ভয়াল থাবার বিস্তার রোধকল্পে মাদক বিরোধী অভিযানে র্যাব সর্বদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময়ই মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে এবং এ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ দেশী/বিদেশী অবৈধ মাদক উদ্ধার করে সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার (২৫ আগষ্ট) রাত সোয়া ১০টার দিকে র্যাব-২ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পান রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন রায়ের বাজার মেকাপ খাঁন রোড সাদেক নগর পানির পাম্পের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী অবৈধ মাদকদ্রব্য নিজ হেফাজতে রেখে বিক্রয়ের উদ্দেশ্য অবস্থান করিতেছে। উক্ত সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে র্যাব-২ এর আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামীরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে কাজী আসলাম হোসেন (৩২), ইসমাইল হোসেন@ বিপ্লব (৪০), জসিম (৩২), কাওসার হোসেন(২৮) ও ইকবাল (৩৮) নামের ৫ জনকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ ১১০৯ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
র্যাবের পাঠনো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছে। গ্রেফতারকৃত কাজী আসলাম হোসেন মোহাম্মদপুর এলাকার নুরজাহান রোডের ওয়াই/৪ নং ভাড়াবাসার ভাড়াটিয়া পিতা-মৃত কাজী ইকবাল হোসেনের ছেলে, ইসমাইল হোসেন@ বিপ্লব পটুয়াখালীর গলাচিপার উত্তর চর বিশ^াস এলাকার মৃত আঃ হাসেম হাওলাদারের ছেলে, জসিম শরীয়তপুর জেলার ডামুড়িয়া উপজেলার ধনই গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে বর্তমানে-টিচার গার্ডেনের পাশে, ওয়াশপুর, থানা- কেরানীগঞ্জে থাকতেন, কাওসার হোসেন চাঁদপুর জেলার সাহারাস্তি উপজেলার বরিয়ার গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে বর্তমানে- সুমির হাজীর বাড়ির ভাড়াটিয়া, রায়ের বাজারে ভাড়া থাকতেন এবং ইকবাল ফরিদপুর জেলার আলফাডাংগা উপজেলার কামারগ্রাম গ্রামের ফিরোজ তালুকদারের ছেলে এবং রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের ২৮/৩২ নং বাসায় ভাড়া থাকতেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।