আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার প্রথম দিনেই জলবায়ু ইস্যুতে গুরুত্ব আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন জো বাইডেন। সে পরিকল্পনা মোতাবেক আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) দুইদিন ব্যাপী জলবায়ু সম্মেলনের আয়োজন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আরও ৪০ দেশের প্রধানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাইডেন।
মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের বরাতে জানা যায়, অনলাইনে ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নেবেন আমন্ত্রিত বিশ্বনেতারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আমন্ত্রণে এই জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন তারা। দুইদিন ব্যাপি এই সম্মেলনের জন্য বিশ্ব ধরিত্রি দিবসকে বেছে নিয়েছেন বাইডেন।
বৈশ্বিকভাবেই হুমকিতে আছে জলবায়ু। বিজ্ঞানীদের মতে, ক্রমশ বাড়ছে বিশ্বের তাপমাত্রা। বর্তমানের তুলনায় যদি তাপমাত্রা বেড়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয় তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। আজকের বৈঠকে বক্তারা এ বিষয়টিকে প্রাধান্য দেবেন এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বোচ্চ করনীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
এই সম্মেলন প্রসঙ্গে হোয়াইট হাইজের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে শুরু থেকেই ভালো সম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করতে ইচ্ছুক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র হলেও অন্যান্য বেশ কিছু রাষ্ট্র আছে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। জলবায়ু সম্মেলনে বাইডেন সেসব রাষ্ট্রের প্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেখানে আমন্ত্রিত রাষ্ট্র প্রধানরা বক্তব্য রাখবেন, জলবায়ু সংকট নিরসনে নিজেদের মতামত ও পরামর্শের বিষয়গুলো তুলে ধরবেন।
সম্মেলনে আমন্ত্রিতরা হলেন;
১/ জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, ২/ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ৩/ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং, ৪/ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ৫/ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন, ৬/ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো, ৭/ ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী ম্যাটি ফ্রেডেরিক্সেন, ৮/ অ্যান্টিগুয়া এবং বার্বুডার রাষ্ট্রপতি গ্যাস্টন ব্রাউন, ৯/ আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি আলবার্তো ফার্নান্দেজ, ১০/ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, ১১/ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ১২/ চিলির রাষ্ট্রপতি সেবাস্তিয়ান পাইরে, ১৩/ কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি আইভান ডিউক মার্কেজ, ১৪/ ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেইন, ১৫/ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি চার্লস মিশেল, ১৬/ ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রন, ১৭/ গ্যাবনের রাষ্ট্রপতি আলী বনগো ওন্ডিম্বা, ১৮/ জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল, ১৯/ ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোডো, ২০/ ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও ড্রাগি, ২১/ জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিডে সুগা, ২২/ মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ডেভিড কাবুয়া, ২৩/ মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতি অ্যান্ড্রেস ম্যানুয়েল ল্যাপেজ ওব্রেডোর, ২৪/ দক্ষিণ কোরিয়া্ রাষ্ট্রপতি মুন জায়ে-ইন, ২৫/ রাশিয়ার ফেডারেশন রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন, ২৬/ সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুলাজিজ আল সৌদ, ২৭/ দক্ষিণ আফ্রিকাত রাষ্ট্রপতি মাতামেলা সিরিল রামফোসা, ২৮/ তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রেসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, ২৯/ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ৩০/ কঙ্গোর রাষ্ট্রপতি ফ্যালিক্স তিশিসেকিদি, ৩১/ গ্যাবনের রাষ্ট্রপতি আলী বনগো ওন্ডিম্বা, ৩২/ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, ৩৩/ জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হলনেস, ৩৪/ কেনিয়ার রাষ্ট্রপতি উহুরু কেনিয়াট্টা, ৩৫/ নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আর্ডা, ৩৬/ নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি মুহাম্মদু বুহার, ৩৭/ নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সলবার্গ, ৩৮/ পোল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি আন্দ্রেজেদ দুদা, ৩৯/ সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি হিসিয়েন লুঙ্গ, ৪০/ দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি মাতামেলা সিরিল রামফোসা, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ