আজ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী আরও বলেন, সমাজে তৈরি হয়েছে ধনী ও গরিবের বিশাল ব্যবধান। অধিকাংশ মানুষের সামান্য প্রয়োজন মেটানো যেন দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
‘সড়ক-মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই’ জানিয়ে রিজভী বলেন, প্রতিবারের ঈদ যাত্রায় বেশ কিছু সংখ্যক নারী কোনো না কোনোভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়। এবারের ঈদযাত্রায় ঢাকা ছাড়তে ৯৮৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় বাসের টিকিটের দাম আকাশছোঁয়া। পরিবহন খাত আপাদমস্তক অনিয়ম-দুর্নীতির কারখানা। ঈদ উপলক্ষে সড়কে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি চলছে।
তৈরি পোশাক খাতের ৬০ শতাংশ কারখানার শ্রমিকেরা সোমবার বিকাল পর্যন্ত মার্চ মাসের বেতন পাননি দাবি করে রিজভী বলেন, ঈদের উৎসব ভাতা বা বোনাস পাননি ১৪ শতাংশ কারখানার শ্রমিক। শ্রমিকেরা বেতন না পেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। তাদের ঈদের আনন্দ চোখের পানিতে ভাসছে।
রিজভী আরও বলেন, তবুও ঈদ আনন্দের। না পাবার মাঝেও অনেক কিছু পাওয়া। তাই ঈদ প্রতিটি মানুষের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ ও হাসি। সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পরিবেশ পরিব্যাপ্তি লাভ করুক-এটাই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা।