অনুসন্ধানী প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত বিশ্বাসযোগ্য হলে অবশ্যই পদক্ষেপ নেবে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
তিনি বলেন, পত্র-পত্রিকায় যেসব সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোর সত্যতা যাচাই ও বিশ্লেষণ করতে হবে। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে, এখানে ব্যক্তি কোনো মুখ্য বিষয় না।
গত ৩১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদে দাবি করা হয়, পুলিশের সাবেক আইজিপি ও র্যাবের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিপুল অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের এ সাবেক কর্মকর্তা।
ওই প্রতিবেদনে বেনজীরের বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। যার মধ্যে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামে এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র, তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানি, পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে ৫০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগের তথ্য দেওয়া হয়।
এ ছাড়া প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার কাছের এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারকা হোটেল লা মেরিডিয়ানে রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক দাম ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় ২২ কোটি টাকা দামের আরও ১০ বিঘা জমি রয়েছে। অথচ গত ৩৪ বছর ৭ মাসের চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ উত্তোলন করেছেন মোট ১ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকা।