atv sangbad

Blog Post

কোটি টাকার মার্কেটে নওগাঁর চাষিদের ভাগ্যবদল

নিজস্ব প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ

ফসলের কাঙ্ক্ষিত দর নিশ্চিতে কোটি টাকার আধুনিক মার্কেট নির্মাণ করায় বদলে গেছে নওগাঁর গ্রামীণ হাট বাজারের চিত্র। পাশাপাশি ঘুরতে শুরু করেছে চাষিদের ভাগ্যের চাকা। জমি থেকে তোলা সবজি এখন চাষিরা এসব মার্কেটের ঘরে মজুদ রেখে প্রত্যাশিত দরে বিক্রি করতে পারছেন। এতে তৃণমূল পর্যায়ে কমেছে ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য। জেলার সাত উপজেলায় নির্মাণ করা এসব মার্কেট প্রান্তিক চাষিদের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে বলে মনে করছে কৃষি সংশ্লিষ্টরা।

চাষিরা তাদের উৎপাদিত সবজি বিক্রির জন্য প্রান্তিক হাটে নিয়ে আসেন। খোলা আকাশের নিচে সবজি কেনাবেচায় হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ হলে বেপারীরা কমিয়ে দেন দর। এমন পরিস্থিতিতে চাষিরা উৎপাদিত সবজি কম দরেই বেপারীদের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হন।


এ অবস্থায় গ্রামীণ হাট বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ২০২১ সালে নওগাঁর সাত উপজেলায় শুরু হয় চাষিদের জন্য আধুনিক মানের মার্কেট নির্মাণ কাজ। ১৭ কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বদলে গেছে কৃষকদের জীবন। 


দ্বিতল বিশিষ্ট এসব মার্কেটের নিচ তলায় মাছ মাংস বিক্রির পাশাপাশি রয়েছে সবজি সংরক্ষণের জন্য চারটি করে ঘর। আর মার্কেটের ওপর তলায় রয়েছে ২২টি ঘর। এসব ঘরের মালিকানা তৃণমূল চাষিদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।

চাষিরা বলছেন, এসব মার্কেট নির্মাণের ফলে সবজির কাঙ্ক্ষিত দর পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

নওগাঁর তেতুলিয়া বাজারের চাষি হুমায়ুন কবির বুলবুল, জুহুরুল ইসলামসহ বেশ কজন জানান, আগে চাষিদের খুব অসুবিধা হতো। এ মার্কেট নির্মাণের ফলে চাষিরা আধুনিক ভবনে কেনা বেচা করতে পারবে।

এসব মার্কেট নির্মাণের ফলে ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কমবে বলে মনে করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

নওগাঁর কৃর্তিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হান্নান বলেন, গ্রামীণ হাট বাজারে পণ্যের দাম কম। এর কারণ কৃষকরা সংরক্ষণ করতে পারে না। এ মার্কেট বড় ভূমিকা রাখবে কৃষকের জন্য।

মার্কেটের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। ইতোমধ্যে তিনটি মার্কেট চাষিদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। আরও তিনটি হস্তান্তর করবে সংশ্লিষ্ট দফতর। গ্রামীণ হাট বাজারে আধুনিক মার্কেট গড়ে ওঠায় তৃণমূল অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলে মনে করছেন এ কর্মকর্তা।


এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, আমরা সাত উপজেলায় এ মার্কেট করছি। আগামীতে বাকী উপজেলায় করা হবে। জেলায় প্রায় ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়। আর বছরে সাড়ে চার লাখ মেট্রিক টন সবজি গ্রামীণ হাট বাজারে বেচা কেনা করেন চাষিরা।

নওগাঁর সাত উপজেলায় আধুনিক মানের মার্কেটের নির্মাণের জন্য বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ হলো- পোরশা শিষা হাটের জন্য দুই কোটি ১৮ লাখ টাকা, নিয়ামিতপুর কাপাষ্টিয়া হাটের জন্য দুই কোটি ২৯ লাখ, সাপাহার আষড়ন্দ হাটের দুই কোটি ৩৯ লাখ, সদর তেতুলিয়া হাটের জন্য দুই কোটি ৩১ লাখ, নিয়ামতপুর শিবপুর হাটের জন্য তিন কোটি ৬৯ লাখ, মহাদেবপুর সদর হাটের জন্য তিন কোটি ৮৭ লাখ টাকা, আত্রাই তিলা ভাদুরী হাটের জন্য বরাদ্দ দুই কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :