সাংবিধানিক ধারা মেনেই আগামী নির্বাচন হতে হবে। আর সেই নির্বাচনে অংশ নেবে জাতীয় পার্টি (জাপা)। জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের বরাত দিয়ে গতকাল শনিবার রাতে দলটি এ কথা জানায়।
এর আগে গতকাল দুপুরে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন রওশন এরশাদ।
এ সময় বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে সংসদ সদস্য শাদ এরশাদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ এবং বিরোধীদলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনূর রশীদ।
গণভবনে বিরোধীদলীয় নেতার সাক্ষাৎ ও বৈঠকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেসসচিব কে এম শাখাওয়াত মুন জানান, সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং রওশন এরশাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
উপপ্রেসসচিব আরো জানান, সংসদীয় গণতন্ত্রে গঠনমূলক ও ইতিবাচক ভূমিকা পালনের জন্য জাতীয় পার্টিকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে বিরোধী দলগুলোর দায়িত্বশীল ভূমিকার বিষয়ে আলোচনা হয়।
সাক্ষাৎ শেষে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেন, ‘জি এম কাদের যেভাবে কথাবার্তা শুরু করেছেন, মনে হচ্ছে তিনি বিএনপির সঙ্গে জোট করবেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘আমার বক্তব্য স্পষ্ট, নির্বাচনকালীন সরকার হতে হবে সাংবিধানিক ধারায়, এটাই নিয়ম। নির্বাচনের এখনো কিছু সময় বাকি, দেখা যাক কী হয়। আমরা চাই, একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেশে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সবার অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর ভোট অনুষ্ঠিত হোক।
পরে বিরোধীদলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ সাংবাদিকদের জানান, গেল প্রায় পাঁচ বছর ও বিগত সময়ে সব ভালো উদ্যোগে সহযোগিতা করায় রওশন এরশাদকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী। জবাবে আগামী দিনেও শেখ হাসিনাকে সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন রওশন এরশাদ।
আজ দিল্লি যাচ্ছেন জি এম কাদের
এদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আজ রবিবার নয়াদিল্লি যাচ্ছে। প্রতিনিধিদলে আছেন জাপা চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা মাসরুর মাওলা এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরিফা কাদের। চার দিনের এ সফরে তাঁরা ভারত সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
জাপা সূত্রগুলো বলছে, জি এম কাদেরের সঙ্গে ভারত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অবশ্যই বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলাপ-আলোচনা করবেন। বিশেষ করে আগামী দিনে দেশের জোট-মহাজোটের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিত্রতা থাকা না থাকা, জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের কৌশলসহ নানা বিষয়ে জি এম কাদেরের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে পারেন ভারত সরকারের প্রতিনিধিরা।
এটিভি/এস