atv sangbad

Blog Post

atv sangbad > প্রচ্ছদ > রাজধানীতে চামড়ার দাম এ বছরে কিছুটা বেড়েছে

রাজধানীতে চামড়ার দাম এ বছরে কিছুটা বেড়েছে

নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ 

ঢাকায় কোরবানির পশুর চামড়ার দাম এবার কিছুটা বেড়েছে। গত বছর পাড়া–মহল্লায় গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছিল ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। সেখানে এবার ট্যানারিগুলো ৭৫০ থেকে ৯২০ টাকা দরে চামড়া কিনছে। রাজধানীর খিলগাঁও, মগবাজার, বাসাবো ও উত্তরা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। তবে এই দরে সন্তুষ্ট নন চামড়া ব্যবসায়ীরা।

এর আগে ৩ জুন কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। গতবারের চেয়ে এবার প্রতি বর্গফুটের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়। সেই হিসাবে ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। এক্ষেত্রে ঢাকায় প্রতিটি গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ন্যূনতম ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার টাকা।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদ–মাদ্রাসা থেকে সাভারের হেমায়েতপুর ও পোস্তাগোলার ট্যানারিগুলো কমপক্ষে ৭৫০ টাকা দরে চামড়া কিনছে। কোনো কোনো চামড়া বিক্রি হয়েছে ৯২০ টাকায়।

খিলগাঁও জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মুফতি তাসরিফুল ইসলাম জানান, বিভিন্নজনের কাছ থেকে দান হিসেবে পাওয়া ৪৫০টি চামড়া তারা সংগ্রহ করেছেন। সেগুলো গড়ে ৯১০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়েছে। গত বছর তারা বিক্রি করেছেন গড়ে ৮৫০ টাকায়।

খিলগাঁও এলাকা থেকে চামড়া সংগ্রহ করছে আনাছ ট্যানার্স। পোস্তা ও হেমায়েতপুরে তাদের ট্যানারি। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি মো. ইসরাফিল জানান, গত বছরের তুলনায় এবার চামড়ার দাম কিছুটা বেড়েছে।

এদিকে বাসাবোর বাসিন্দা রেদোয়ানুল হক বলছেন, দুই বছর ধরে চামড়ার দাম কিছুটা বাড়লেও এখনও তা দুই–তিন যুগ আগের দামের তুলনায় কম। ওই সময় প্রতিটি চামড়া ২ ধেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হত। এখন সব কিছুর দাম কয়েক গুণ বেড়েছে। সেই হিসেবে দুই বছরে কিছুটা বাড়ার পরও চামড়ার দাম এখন ১ হাজার টাকার নিচে। এ কারণে এখন আর কেউ নিজেরা চামড়া বিক্রি করে না। বরং মসজিদ–মাদ্রাসায় দান করে দেয়। আগে ফড়িয়ারা বাসা থেকে বেশি দামে চামড়া কিনে নিয়ে যেত।

রাজধানীর পোস্তায় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায় চামড়া বিক্রি হতে দেখা গেছে। এখানকার হাজী আব্দুর রাজ্জাক কোং এর মালিক হাজী মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন জানান, এখন পর্যন্ত তিনি বড় চামড়া এক হাজার টাকা পর্যন্ত কিনেছেন। কিন্তু গড়ে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে বেশি কিনেছেন।

গতবারের চেয়ে এবার কম দামে চামড়া কেনার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ট্যানারিতে প্রতি চামড়ার দাম সাড়ে ১২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি চামড়ার পেছনে ৩৫০ টাকা খরচ আছে। এ কারণে এর বেশি দামে তিনি চামড়া কিনছেন না বলে জানান।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থেকে চামড়া বিক্রি করতে আসা মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল গাফফার বলেন, তিনি দুপুর ৩টা পর্যন্ত গড়ে ৯০০ টাকায় চামড়া বিক্রি হতে দেখেছেন। কিন্তু বিকেল ৫টার পর থেকে বিক্রেতারা ৭০০ টাকার বেশি দিতে চাচ্ছেন না। গত বছর তিনি একই চামড়া বিক্রি করেছিলেন ৮০০ টাকায়।

তিন–চার বছর আগে চামড়ার দামে বড় রকমের ধস নেমেছিল। তখন চামড়ার দাম ছিল মাত্র ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মানুষ কোরবানির পশুর চামড়া রাস্তায়–ভাগাড়ে ফেলে দিয়েছিল। ওই পরিস্থিতির পর গত দুই বছর ধরে চামড়ার দাম কিছুটা বাড়ছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :