শুল্ক ফাঁকিতে ওমেরা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড
অনুসন্ধানী প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ
দেশের প্রতিটি সেক্টরের শিরা-উপশিরায় মিশে আছে ভয়াবহ দুর্নীতি ও অনিয়ম। অনিয়মই এখন সর্বক্ষেত্রে নিয়মে পরিণত হয়েছে। তা না হলে বারবার নিয়মবহির্ভূত কর্মকাণ্ড চলে কি করে?
দ্বিতীয় দফায় বিনা শুল্কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে আরও ৮২ টন এলপি গ্যাস রপ্তানি করা হয়েছে।
বুধবার (৮ জুন) দুপুরে এলপি গ্যাস বোঝাই পাঁচটি ট্যাংক আগরতলা স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। এসব গ্যাসের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওমেরা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড।
এর আগে গত ৩১ মে, ২০২২ দুইটি ট্যাংকে করে প্রথমবারের মতো আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রায় ৩৫ টন এলপি গ্যাস রপ্তানি করে ওমেরা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড। রপ্তানিকৃত গ্যাসের কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের দায়িত্বে স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মৌ এন্টারপ্রাইজ।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মৌ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোহসীন আহমেদ সরকার জানান, রপ্তানিকৃত গ্যাসের কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের দায়িত্বে আছে তার প্রতিষ্ঠান। তিনটি প্রতিষ্ঠান এ বন্দর দিয়ে গ্যাস রপ্তানি করবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর একেকটি ৫০ হাজার টন করে এলপি গ্যাস রপ্তানি করবে।
গ্যাস রপ্তানির জন্য কোনো শুল্ক পায়নি আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ। তবে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ট্যাংকারের ওজন, অবস্থান ও প্রবেশ ফি এবং ভ্যাট হিসেবে প্রত্যেকটি ট্যাংক থেকে ৪৭৯.৬১ টাকা করে পেয়েছে বলে জানান স্থলবন্দরের ট্রাফিক পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন।
বিনা শুল্কে রপ্তানি যা নিয়মনীতি বহির্ভূত বলে জানিয়েছেন, আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি। অনুসন্ধানে জানা যায় ওমেরা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড ও তাদের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মৌ এন্টারপ্রাইজ সরকারের নিয়ম ভঙ্গ করে আইন পরিপন্থীমূলক এ কাজগুলো করে যাচ্ছে।
সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে, বারবার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে সরকার।