atv sangbad

Blog Post

atv sangbad > খেলাধুলা > আদালতে গড়াতে পারে জামাল-শেখ রাসেল ইস্যু

আদালতে গড়াতে পারে জামাল-শেখ রাসেল ইস্যু

ক্রীড়া ডেস্ক, এটিভি সংবাদ

প্রথমে গোপনীয়তা, এর পর নিজ থেকেই আর্জেন্টিনা তৃতীয় বিভাগের ক্লাবে যোগ দেওয়ার সংবাদ জানান জামাল ভূঁইয়া। শুক্রবার রাতে সোল দা মায়োর সঙ্গে দেড় মৌসুমের চুক্তি সম্পন্ন করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

নতুন ক্লাবে যোগ দেওয়া নিয়ে তাঁর লুকোচুরি ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সঙ্গে করা চুক্তি অস্বীকারে ফুটবলপাড়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে জামাল। ফুটবল-সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করেন, শেখ রাসেলের সঙ্গে চুক্তিটি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কাগজে না হওয়ায় অন্য ক্লাবে খেলতে কোনো বাধা নেই ডেনমার্ক প্রবাসী এ ফুটবলারের। আবার কারও কারও দাবি, বাফুফের পেপারে চুক্তি না হলেও যেহেতু রাসেলের দেওয়া কাগজে সই করেছেন, তাই জটিলতায় পড়তে পারেন তিনি। সে ক্ষেত্রে চাইলে জামাল ভূঁইয়াকে আদালতে নিতে পারে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।

ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করেও অন্য ক্লাবে চলে যাওয়ায় ২০১৬ সালে আট ফুটবলারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করেছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তাদের অভিযোগ ছিল– চুক্তি ভেঙে ক্লাব ছেড়েছেন মামুনুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, ইয়ামিন মুন্না, সোহেল রানা, রায়হান হাসান, জামাল ভূঁইয়া, শেখ আলমগীর কবির রানা ও শহিদুল আলম সোহেল। এই আট ফুটবলার পরে অন্য ক্লাবে খেললেও তাদের আদালতে নিয়ে গিয়েছিলেন শেখ জামাল ক্লাব কর্তারা।

শেখ রাসেল ও জামালের ইস্যুটিও এই পর্যায়ে চলে গেছে। যেহেতু আর্জেন্টিনার ক্লাবে চুক্তি করেছেন, সেহেতু জামালের বিরুদ্ধে কি কোনো আইনি ব্যবস্থা নেবে শেখ রাসেল? এই প্রশ্নের উত্তরে ক্লাবের পরিচালক (অর্থ) মো. ফখরুদ্দিন বলেন, ‘যদি আমাদের কাছে কোনো পেপার আসে, তখন আমরা চিন্তা করব আসলে আদালতে যাওয়া উচিত, নাকি উচিত না; নাকি ছাড় দেওয়া উচিত। তবে এটুকু বলব, সে একজন প্রতারক। চুক্তির পেপারে সে কিন্তু নিজ হাতে তার নাম, বাবা, মায়ের নাম এবং মোবাইল নম্বর লিখেছে।’

তবে জামাল বলেছেন, চুক্তির কাগজে লেখা তাঁর মা-বাবার নাম, মোবাইল নম্বর ভুল এবং পাসপোর্ট নম্বরও লেখা নেই। তাহলে চুক্তির কাগজে এগুলো কে পূরণ করেছে? এই প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে ভুল হওয়া জিনিসগুলোই বারবার এই প্রতিবেদকের কাছে তুলে ধরেন জামাল।

এ প্রসঙ্গ আনতেই আইটিসি না দেওয়ার হুমকি দিয়ে রাখেন ফখরুদ্দিন, ‘তুমি তোমার নিজ হাতে লিখেছ। আমরা তো লিখিনি। তার মানে তুমি সেখানেও প্রতারণা করেছ। মোবাইল নম্বর ইচ্ছা করে ভুল দিয়েছে, তার মানে তার পূর্ব থেকেই খারাপ চিন্তা ছিল। যখন আইটিসি চাইবে, তখন তাকে আমাদের কাছে বলতে হবে, সে এখানে চুক্তি করেছে এবং যা লিখেছে সবই তার নিজ হাতের। সে যদি এগুলো না করে, তাহলে আমরা তো তাকে আইটিসি দেব না।’

এটিভি/এস

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :