atv sangbad

Blog Post

atv sangbad > অন্যান্য > ‘এআই’ নিয়ে আইনের খসড়া হবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে

‘এআই’ নিয়ে আইনের খসড়া হবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে

তথ্য ও প্রযুক্তি ডেস্ক, এটিভি সংবাদ:

মানুষের অধিকার সংরক্ষণ ও সুবিধার জন্য এআই ব্যবহার করবে বাংলাদেশ। তাই এআই এর গতিপ্রকৃতি অবজারভ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চায় সরকার। তাই এখনই এআই আইন নয় বলে জানিয়েছেন আইন মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, অন্যান্য দেশে এই আইনে ব্যবহার পরীক্ষা করে দেখতে আমরা এই সময়টুকু নিচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি এরপরই আমরা যথা সময়ের মধ্যেই আইনটি তৈরি করতে পারবো। সেপ্টেম্বরের মধ্যে এআই আইনের খসড়া তৈরি হবে।

অপরদিকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ এবং স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজব্যবস্থা, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকারব্যবস্থা গড়তে হলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইকে বাইপাস করে কিছু করা সম্ভব নয়। তাই এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ বা আলোচনার বিষয় হচ্ছে আমরা কতটুকু উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবো এবং কতটুকু অপপ্রয়োগকে নিয়ন্ত্রণ করবো।

গত ২১ মার্চ দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত পরামর্শ ও মতবিনিময় সভা শেষে এসব কথা বলেন দুই মন্ত্রী। এসময় বিবাহ ও তালাক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (বন্ধন) বিষয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং আইসিটি সচিব মো. সামশুল আরেফিন উপস্থিত ছিলেন।

 

বৈঠকের আলোচনা বিষয়ে জানতে চাইলে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা মনে করি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই যেভাবে পৃথিবী বদলে দিচ্ছে, সেটার ব্যাপারে একটা আইন যেরকম সারা পৃথিবীতে চিন্তা করা হচ্ছে বাংলাদেশেও চিন্তা করা উচিত। সেই চিন্তা করার জন্যই আমরা আজকে প্রাথমিকভাবে বসেছিলাম। আজকে আইনের একটা আউটলাইন আমরা করলাম। এ বিষয়টা এত ব্যাপক এক দিনের আলোচনায় শেষ হবে না। এ আইনের মধ্যে যে জিনিসগুলো থাকা উচিত, মনুষ্যত্বের দিক থেকে যে বিষয়গুলো রক্ষা করা উচিত- সেগুলোর বিষয়ে আলোচনা করেছি। সেই আলোচনা শুরু হলো এবং আলোচনা চলবে।

আউটলাইনে কি কি থাকছে- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে সেটা আমরা বলতে চাই না। কারণ এটাও পরিবর্তনশীল। বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করার জন্য এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য, অন্যান্য জায়গায় কি আইন হচ্ছে সেটা একটু পরীক্ষা করার জন্য এই সময়টুকু নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি এই সময়ের মধ্যে আমরা এই আইনটা তৈরি করতে পারব।

এই আইনের ফলে কি হবে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, এটি আমাদের কাছেও জিজ্ঞাস্য। এর কারণ হচ্ছে আমরা কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করবো। এই জিনিসটুকু আমি বলতে পারি- মানুষের অধিকার সংরক্ষণের জন্য, সর্বক্ষেত্রে সেটা সংরক্ষণের জন্য, মানুষের সুবিধার জন্য এআইকে যাতে ব্যবহার করা যায় সেই চেষ্টাই আমরা করব।

এরপর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি সিদ্ধান্ত আইনমন্ত্রী মহোদয় গ্রহণ করেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি আমাকে নির্দেশনা দেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আমরা কি ভাবছি ও আইন প্রণয়নের ব্যাপারে আমরা কতটা প্রস্তুত। উনার নির্দেশনা পাওয়ার পর আমরা তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করি এবং যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট গভর্নেন্স, স্মার্ট অর্থনীতি করতে হলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে বাইপাস করে কিছু করতে পারবো না।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :