প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আবার যেহেতু মানুষ ব্যাপকভাবে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে গেছে, তাই, সবাই একটু সাবধানে থাকবেন। নিজেকে এবং পরিবারকে নিরাপদে রাখবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে নিজেকে এবং অপরকে সুরক্ষিত রাখবেন, সেটা আমার অনুরোধ।’
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম স্বাগত ভাষণ দেন এবং পুরস্কার বিজয়ীদের সাইটেশন পাঠ করেন। এ ছাড়া পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন মায়া রানী বাউল।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ‘বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার ১৪২৪’ প্রদান করেন। যার মধ্যে রয়েছে ৫টি স্বর্ণপদক, ৯টি রৌপ্যপদক এবং ১৮টি ব্রোঞ্জপদক। কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেব ৩২ ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই পদক বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কার্যাবলীসম্পর্কিত একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি পরিবেশিত হয় এবং প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর বাণী নিয়ে ‘বাণী চির সবুজ’ এবং ‘চিরঞ্জীব’ নামের দুটি স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি খাতের অভূতপূর্ব উন্নয়নের জন্য আমাদের চাষি ভাইবোনেরা যেমন কৃতিত্ব পাওয়ার দাবিদার, তেমনি আমাদের কৃষিবিজ্ঞানী, সম্প্রসারণ কর্মীরাও সমান কৃতিত্বের অধিকারী।
সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে তাঁর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সারা দেশে ৭২৭টি স্থানে ওএমএস কার্যক্রমের মাধ্যমে চাল-আটা এবং টিসিবির মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনাকালে ২৩টি প্যাকেজের আওতায় তাঁর সরকার ১ লাখ ২৮ হাজার ৪৪১ কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছে, যে কারণে এই মহামারি মোকাবিলা করে তাঁর সরকার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারলেও জাতীয় প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
করোনায় সমগ্র দেশের মানুষকে সরকার প্রদত্ত নানাবিধ সহযোগিতার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাঁচ কোটির ওপরে লোক আমাদের সহায়তা পেয়েছে।