মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, খালেদা জিয়া শুধু একজন বয়স্ক রাজনীতিবিদ নন, তিনি দেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে অতুলনীয় অবদান রেখেছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তাঁর ভূমিকা কিংবদন্তির মতো। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয় নেতা। তাঁর পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা প্রয়োজন। সব ধরনের রাজনৈতিক সংকীর্ণতা থেকে বের হয়ে তাঁর সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেশের মানুষের প্রাণের দাবি। এ অবস্থায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য তাঁকে দেশের বাইরে পাঠানোর জন্য ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি তাঁর মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার ব্যাপারে দলের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আগে বলিনি। ওনার (খালেদা জিয়া) পরিবার বিদেশে প্রেরণের কথা বলেছিল। আমরা এবার পার্টির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রেজল্যুশন নিচ্ছি যে তাঁর বিদেশে চিকিৎসা দরকার। এর জন্য যা কিছু করা দরকার, সরকারের তা করা উচিত ইমিডিয়েটলি। তার পরের যে স্টেপগুলো আছে, পরে আলাপ-আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। প্রথমে বাসায় তাঁর চিকিৎসা চলে। পরে গত ২৭ এপ্রিল তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৬ দিন পর ৩ মে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁকে জরুরিভাবে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। তিনি ৯ মে করোনার সংক্রমণ থেকে মুক্ত হন।