অনলাইন ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ঘোষণা করেছে- অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার কাছাকাছি চলে যাওয়া ইসরাইলি ট্যাংকগুলো প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষের পর পিছু হটে গেছে।
গাজায় হামাসের দপ্তর প্রধান সালামা মারুফ গতকাল (সোমবার) এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকার আবাসিক এলাকাগুলোতে ইসরাইলি সেনারা স্থলপথে কোনো অগ্রাভিযান চালাতে পারেনি। গাজা সীমান্তের সালাহউদ্দিন সড়কে কয়েকটি ইসরাইলি ট্যাংক ও একটি বুলডোজার অনুপ্রবেশ করেছিল যেগুলো তীব্র প্রতিরোধের মুখে ফিরে গেছে। গাজা সীমান্ত থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার ভেতরে সালাহউদ্দিন সড়ক অবস্থিত। সেখানে সোমবার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরাইলি সেনাদের তুমুল সংঘর্ষ হয়।
হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরাইলি ট্যাংকগুলো সালাহউদ্দিন রোডে দু’টি বেসামরিক গাড়িতে গোলাবর্ষণ করে গাড়িগুলোর সব আরোহীকে হত্যা করে। তাদের একটি বুলডোজার এর আগে বিমান হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি বাড়ির ধ্বংসাবশেষ ঝাড়ু দেয়ার কাজ করে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলার মুখে বুলডোজার ও ট্যাংকগুলো পিছু হটে যায়। সালাহউদ্দিন সড়কে দখলদার সেনাদের কোনো যানবাহন নেই। রোডের অধিবাসীরা নির্বিঘ্নে সড়কটিতে যাতায়াত করছেন।
হামাসের যোদ্ধারা সোমবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের কাছেও দখলদার ইসরাইলি সেনাদের একটি অগ্রাভিযান প্রতিহত করেছেন। হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনারা সোমবার রাফাহর পূর্ব প্রান্ত এবং দক্ষিণ গাজা থেকে উপত্যকায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাদেরকে পশ্চাদপসরণে বাধ্য করা হয়েছে।
হামাসের দাবী, ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা গাজায় বড় ধরনের অভিযান চালাতে ব্যর্থ হয়ে এখন চোরাগোপ্তা সীমিত অভিযান শুরু করেছে। ফ্রন্টলাইনগুলোতে স্থল বাহিনী না পাঠিয়ে ইসরাইলের নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলা প্রমাণ করে, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা এ যুদ্ধে বিজয়ীর অবস্থানে রয়েছেন।