atv sangbad

Blog Post

তাড়াশে প্রাণিসম্পদ অফিসে চিকিৎসক না থাকায়, পিয়ন দিচ্ছে চিকিৎসা!

অনুসন্ধানী প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ 

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে ৩১ দিন যাবৎ চিকিৎসক নেই। বাধ্য হয়ে জরুরি চিকিৎসা সেবা চালু রেখেছেন পিয়ন। এদিকে চিকিৎসক না থাকায় উপজেলার ভেটেরিনারি চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী খামারি ও স্থানীয়দের।

জানা গেছে, গত ৮ মার্চ থেকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শফিউল আলম উচ্চতর ডিগ্রির জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ময়মনসিংহে রয়েছেন। পরে রায়গঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. অলিউল ইসলামকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয় তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের কর্মকর্তা হিসেবে। কিন্তু তিনি ১ দিনও অফিস করেননি।

এছাড়া ভেটেরিনারি সার্জন, ইউএলএ, ভিএফএ, এফএ (এআই), কম্পাউন্ডার, অফিস সহকারী, ড্রেসার ও অফিস সহায়কের পদের আরও ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ শূন্য রয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে।

223

উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের খামারি মোহসিন আলী বলেন, খামারের একটি গরু রাত থেকে অসুস্থ। হাসপাতালে এসে দেখি ডাক্তার নেই। পরে পিয়ন প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন।

তাড়াশ পৌর এলাকার আছিয়া খাতুন বলেন, ছাগলের মরা বাচ্চা পেটে আটকে যায়। হাসপাতালের আনার পর পিয়ন বের করে দিয়েছে।

788

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পিয়ন ফিরোজ হোসেন বলেন, তার একার পক্ষে জরুরি চিকিৎসাসেবা দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে ১ দিন চিকিৎসা দেওয়া বন্ধ ছিলো। পরে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌরাংগ কুমার তালুকদারের নির্দেশে চালু করা হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কৃত্তিম প্রজননের দায়িত্বে থাকা (এফএআই) ওরাফেল আহাম্মেদ বলেন, হাসপাতালে প্রায় ১ বছর ধরে সিমেন নাই, ফলে তারও কোনো কাজ নেই।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অলিউল ইসলাম বলেন, অভ্যন্তরীণ সমস্যা থাকায় তাড়াশে অফিস করছেন না।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌরাংগ কুমার তালুকদার বলেন, তাড়াশে গিয়ে বাদলা রোগে আক্রান্ত গরুগুলোর ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কর্মকর্তা দেওয়া, না দেওয়া মন্ত্রণালয়ের বিষয়। আশা করি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :