সৈকত মনি, এটিভি সংবাদ
গাজীপুর মহানগরীর গাছা এলাকায় তুরাগ নদের শাখা খাল দখল করে মিল-কারখানা, ঘরবাড়ি স্থাপনের ফলে পানি প্রবাহের স্বাভাবিক গতিপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কয়েকটি ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে লক্ষাধিক মানুষ এখন পানিবন্দি অবস্থায় দিনযাপন করছেন। ওই এলাকার অনেক শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসা-বাড়ি এবং রাস্তায় পানি ঢুকে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তুরাগ নদ থেকে প্রবাহিত হয়ে একটি খাল নগরীর বাসন থেকে শুরু হয়ে আধেপাশা, চন্দপাড়া, উঝারপাড়া, কলমেশ্বর ও গাছা হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অতিক্রম করে হায়দরাবাদ গিয়ে মিলেছে।
প্রায় ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘের এ খালটির অধিকাংশ স্থানেই দখল ও ভরাট করে বাড়িঘর ও মিল-কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া বড়বাড়ি এলাকায় একটি ওয়াশিং কারখানার বিশাল ভবন খালের (তুরাগ) উপর নির্মাণ করায় পানির স্বাভাবিক গতিপ্রবাহে মারাত্মকভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি ও মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহারের পর পরিত্যাক্ত পানি ওই স্থান দিয়ে প্রবাহিত হতে না পারায় ১৪, ১৫, ৩৪, ৩৫, ৩৬ ও ৩৭ ওয়ার্ডের চন্দপাড়া, আধেপাশা, ভোগড়া, উঝারপাড়া, কলমেশ্বর, কুনিয়া পাচর, বড়বাড়িসহ নগরীর বিস্তীর্ণ এলাকার বাসা-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, দোকান, মার্কেট, ফসলি জমি, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জলাবদ্ধতা সৃস্টি হয়েছে।
মানুষের দুর্ভোগের খবর পেয়ে গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম পরপর গত দু-তিন দিন ধরে ওই এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি জলাবদ্ধতার কারণগুলো চিহ্নিত করে পানি প্রবাহের বাধা দ্রুত দূর করার উদ্যোগ নেন।
এ বিষয়ে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মিডিয়াকে জানান, কয়েকটি শিল্প কারখানার মালিক খালের সরকারি জমি দখল করে কারখানা, ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছে। ফলে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে নগরীর কয়েকটি এলাকার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এজন্য তিনি উপস্থিত থেকে ওই খালের কিছু অংশের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করেছেন। ফলে পানির উচ্চতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।
এ সময় তিনি জনস্বার্থে কারখানা মালিক ও অবৈধ দখলদারদের খালের জমি ছেড়ে দিয়ে এলাকাবাসীকে পানির প্রবাহে বাধা দূর করার অনুরোধ জানান।