এস এম জামান, এটিভি সংবাদ
স্বস্তিদায়ক হচ্ছে, এখন পর্যন্ত পাটুরিয়ার ঘটনায় কোনো জান খেয়ানতের খবর আসেনি। মালের ওপর দিয়েই গেছে ২৭ অক্টোবর সকালের ফেরি ‘দুর্ঘটনা’।
মাল গেলে মাল পাওয়া যাবে, জান গেলে তা মিলবে না। তাই ধন্যবাদ ‘চার আঙুল কপালকে’ আর দণ্ডমুণ্ডের কর্তাদের। সর্বস্ব খুইয়ে জানে বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা বলেছেন, দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ঘাট থেকে ফেরিটি যখন মাঝনদীতে পৌঁছায়, তখনই সামনের দিকে ডান পাশে থাকা এক ছিদ্র দিয়ে গলগল করে পানি উঠতে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে ফেরির ভেতর পানি জমে যায়। ফেরিতে পানি দেখে স্টাফসহ যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা চিৎকার শুরু করেন। বেগতিক দেখে ফেরির মাস্টার ইঞ্জিনের গতি বাড়িয়ে দেন। অল্প সময়ের মধ্যে ফেরিটি পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে পৌঁছায়।
পন্টুনের সঙ্গে রশি না বাঁধতেই ফেরির ডালা নামিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তিনটি ট্রাক তাড়াহুড়া করে ফেরি থেকে নেমে যায়। নামতে না পারাদের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ ১৭টি গাড়ি, দুটি প্রাইভেট কার ও ৮-১০টি মোটরসাইকেল ছিল ফেরিতে। ফেরি পুরোপুরি কাত হয়ে গেলে সেগুলোর সলিলসমাধি ঘটে। দু’একজন তাদের মোটরসাইকেল রক্ষার জন্য পানিতে ঝাঁপ দিলেও শুধু প্রাণ নিয়ে কূলে ফিরতে হয়। তাদের একজন অমল কান্তি ভট্টাচার্য আহত অবস্থায় পাটুরিয়া ঘাটে ওঠেন। তার সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেল ও মুঠোফোন নদীতে থেকে যায়।
ফেরির মাস্টার যদি ইঞ্জিনের গতি না বাড়াতে পারতেন, মাঝদরিয়াতেই যদি তলিয়ে যেত এই ৫০ বছরের পুরোনো শাহ আমানত ফেরিটি। যদি দুর্ঘটনাটি ঘটত মধ্যরাতে, ফেরিতে থাকত যাত্রীবাহী বাস আর তার ঘুমন্ত যাত্রীরা? তাহলে কি শুধু মালের ওপর দিয়েই যেত? জান বাঁচত নারী, শিশু ও প্রবীণ যাত্রীদের?