দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল মঙ্গলবারের তুলনায় আজ বুধবার বৃষ্টি কিছুটা বাড়তে পারে। বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা আগামী বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে এ সময় দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টি কিছুটা বেশি ঝরতে পারে।
এদিকে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার তিস্তাতীরের নিম্নাঞ্চল থেকে পানি কমতে শুরু করলেও দেখা দিয়েছে নদীভাঙন।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন গতকাল বলেন, ‘মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার বৃষ্টি কিছুটা বাড়তে পারে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৪৪টি স্টেশনের মধ্যে ২১টিতে বৃষ্টির খবর মিলেছে।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান গতকাল বলেন, ‘তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে পানি কমছে। ২৪ ঘণ্টায় পানি কমে বিপত্সীমার নিচে নেমে যেতে পারে। ধরলা ও দুধকুমারের পানিও কমছে। আশা করছি, আগামী কিছু দিন দেশের উত্তরের নদ-নদীর পানি কমতে থাকবে। বৃষ্টি পুরোপুরি বন্ধ না হওয়ায় পানি কিছুটা ধীরগতিতে কমতে পারে। পোড়াবাড়ী পয়েন্টে যমুনার পানি বিপত্সীমার সামান্য ওপরে বা কাছাকাছি ঘোরাঘুরি করছে। এটা তেমন ঝুঁকিপূর্ণ নয়।’
পাউবোর এই প্রকৌশলী বলেন, ২০ আগস্ট (রবিবার) পর্যন্ত উজানে বৃষ্টি কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তেমন বড় কোনো বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা নেই বললেই চলে।
পাউবোর তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বিকেল ৩টায় তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপত্সীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপরে এবং যমুনার পানি পোড়াবাড়ী পয়েন্টে বিপত্সীমার চার সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
লালমনিরহাটের তিস্তাতীরে ভাঙন
জেলার নিম্নাঞ্চল থেকে পানি কমতে শুরু করলেও আদিতমারী উপজেলার তিস্তাতীরে ভাঙনের কবলে পড়েছে লোকজন। গত তিন দিনে উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের বাহাদুরপাড়া এলাকার অন্তত ১২টি বসতভিটা চলে গেছে নদীগর্ভে।
আদিতমারীর ইউএনও জি আর সারোয়ার বলেন, বাহাদুরপাড়ার কয়েকজন তাঁদের বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছেন, কেউ কেউ সরাতে পারেননি। তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন লালমনিরহাট প্রতিনিধি]
এটিভি/এস