অনুসন্ধানী প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ
দিন দিন সমাজ ব্যবস্থা ও দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এতোটাই অন্যায়ের মধ্যে ঝুঁকে পড়েছে মানুষ নামের হিংস্র জানোয়ারগুলো যা গোটা সমাজকে বিস্মিত করেছে। এ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের শেষ হবে কবে? শুধুমাত্র অর্থদণ্ড দিয়েই শেষ? আর কোনো দন্ডে দণ্ডিত করা গেলো না এ জানোয়ারদের?
আজকের প্রতিবেদনে রয়েছে, জেলা মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় মরা গরুর মাংস বিক্রির দায়ে দুই মাংস বিক্রেতাকে (কসাই) ৬০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রামানন্দ পাল।
বুধবার (৮ জুন) দুপুরে উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের নহাটা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ গরু বিক্রেতা মো. মনির মৃধা এবং গরু মরার পর জবাই করা মাংস বিক্রেতা মো. আকমল মিয়াকে এ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে একটি অসুস্থ গরু বিক্রি করেন মনির মৃধা নামে এক ব্যক্তি। পরে জবাই করার আগেই গরুটি মারা যায়। মরা গরু জবাই করে মাংস বিক্রির জন্য নহাটা বাজারে নিয়ে আসেন কসাই আকমল মিয়া। এ সময় মরা গরুর মাংস বিক্রি খবর ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়।
এরপর স্থানীয় লোকজনের কাছে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে বাজার কমিটি ও স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান। পরে তারা মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ইউএনও রামানন্দ পাল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুই ব্যক্তিকে অর্থদণ্ড করেন। মাংস উদ্ধার করে মাটিতে পুতে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তৈয়বুর রহমান তুরাফ বলেন, সকালে বাজারের কসাই আকমল মিয়া মাংসের দোকানে অসুস্থ ও পরে মরা গরুর মাংস বিক্রি করার খবর পায়। পরে দ্রুত প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রামানন্দ পাল বলেন, সকালে মরা গরুর মাংস বিক্রির খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাংস বিক্রয়ের অপরাধে দু’জনকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।