মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কায় পিকনিকে যাওয়া ট্রলারডুবির ঘটনায় লাশের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ জনে। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। নিখোঁজ রয়েছে আরো চারজন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন।
গতকাল শনিবার রাত ৮টায় উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের রসকাঠি এলাকার ডহরি-তালতলা খালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রলারটিতে ৪৬ জন যাত্রী ছিল।
ঢাকা থেকে আসা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স হেডকোয়ার্টার্সের স্টেশন মাস্টার মেহেদী হাসান রাত সাড়ে ১১টায় জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত আটটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস চারজনের লাশ উদ্ধার করেছে। এর আগে স্থানীয় লোকজন আরো চারজনের লাশ উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে নারী তিনজন, শিশু তিনজন। এখনো আরো নিখোঁজ চারজনের সন্ধানে তৎপর রয়েছেন ডুবুরিরা।
এই খাল দিয়ে গত বর্ষায় লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ করেছিলেন। এমনকি বেপরোয়া এই বাল্কহেড চলাচল বন্ধে বালিগাঁও বাজারের কাছে আড়াআড়ি বাশ বেঁধে বাল্কহেড চলাচল রোধ করা হয়েছিল। তা ছাড়া রাতে বাল্কহেড চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কোনোমতেই এসব বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ করা যাচ্ছে না।
স্থানীয় লোকজন জানায়, সিরাজদিখান উপজেলা থেকে একটি ভাড়া করা ট্রলারে পদ্মা নদীতে পিকনিকে যায় প্রায় ৫০ জন। সারা দিন নদীতে বিনোদন শেষে ডহরি-তালতলা খাল দিয়ে ট্রলারটি ফিরছিল।
রসকাঠি এলাকায় লৌহজংমুখী একটি বাল্কহেড নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রলারে ধাক্কা দিয়ে সেটি ডুবে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন উদ্ধারকাজ শুরু করলে পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল ও নৌ পুলিশ এসে তাতে যোগ দেয়। ট্রলারের ছয় যাত্রীর লাশ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে একটি ছেলে এবং দুটি কন্যাশিশু রয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্বজনরা লাশ নিয়ে যাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া সম্ভব হয়নি।
লৌহজং থানার ওসি খন্দকার ঈমাম হোসেন দুর্ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন, সিরাজদিখান থেকে ৪৬ যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি লৌহজংয়ের পদ্মায় পিকনিকে গিয়েছিল। একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পাঁচটি লাশ স্বজনরা নিয়ে গেছে কি না, তা তাঁর জানা নেই। বাল্কহেডটি আটক করা হয়েছে। ট্রলারটি উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
এটিভি/এস