atv sangbad

Blog Post

atv sangbad > সারাদেশ > মৌলভীবাজারে প্রধান শিক্ষক ছাড়া চলছে ৫১টি বিদ্যালয়!

মৌলভীবাজারে প্রধান শিক্ষক ছাড়া চলছে ৫১টি বিদ্যালয়!

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক ছাড়া চলছে ৫১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এসব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব ও পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ফলে উপজেলার ৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৫১টি প্রধান শিক্ষক পদের মধ্যে ১৭টির মামলা জটিলতা রয়েছে। ৬৫ শতাংশ প্রধান শিক্ষক প্রমোশনের মাধ্যমে ও ৩৫ শতাংশ প্রধান শিক্ষক সরাসরি নিয়োগ দেওয়া হয়।

উপজেলার যেসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নেই এসব প্রতিষ্ঠান ঘুরে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের অভাবে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক নেই সেসব প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। এসব শিক্ষকরা প্রশাসনিক কাজে ব্যাস্ত থাকায় ক্লাসে নিয়মিত অংশ নিতে পারেন না। ফলে প্রতিষ্ঠানের অন্য শিক্ষকদের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে।

ksrm

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক আনোয়ার হোসেন ও শামসু মিয়া বলেন, বেশির ভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটে নিয়মিত পাঠদান হয়না। লেখাপড়ার মান বৃদ্ধির জন্য শূন্য পদগুলোতে দ্রুত সময়ে নিয়োগ দেওয়া হোক।

উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দাবি জানিয়ে বলেন, যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই এসব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হোক। যতদিন পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া না হবে ততদিন পর্যন্ত শিক্ষক সংকটের সমাধান হবে না।

কমলগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি করার জন্য। কিন্তু কিছু বিদ্যালয়ে মামলা জটিলতার কারণে এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।

উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল আলম তালুকদার বলেন, আমাদের ৫১টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই এর মধ্যে ১৭টি বিদ্যালয়ে মামলা রয়েছে। জাতীয়করণের সময়ে তাদেরকে সহকারী শিক্ষক পদে গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৬৫ শতাংশ প্রমোশনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক করা হবে এবং ৩৫ শতাংশ প্রধান শিক্ষক সরাসরি নিয়োগ দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, শূন্য পদ পূরণ করতে হবে এবং প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি করলে শিক্ষক সংকট দূর হবে।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামসুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানেন। আর সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ আশা করছি আগামী সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে হবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :