atv sangbad

Blog Post

atv sangbad > প্রচ্ছদ > রাজধানীজুড়ে কয়েক হাজার সিসি ক্যামেরা বসছে

রাজধানীজুড়ে কয়েক হাজার সিসি ক্যামেরা বসছে

* ঢাকা দক্ষিণে ৫০০ পয়েন্টে চিহিৃত

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীবাসীর নিরাপত্তায় পুরো শহরকে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) টিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নিচ্ছে। এ জন্য সরকারের প্রস্তাবিত সেফ সিটি প্রকল্পের আওতায় ডেভেলপমেন্ট অব ঢাকা সিটি ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম নামের একটি প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করছে পুলিশ সদর দফতর। এছাড়া ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সেফ সিটি প্রকল্পের আগেই ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৫০০ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের আরেকটি প্রকল্প নিয়েছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেফ সিটি প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকার ছয় হাজার কিলোমিটার ছোট-বড় রাস্তার পুরোটাই কয়েক হাজার সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলা, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও হত্যার মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং যানবাহন চলাচলের ত্রুটি ধরতে কাজ করবে এই ক্যামেরা পদ্ধতি।
ডিএমপির উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) ওয়ালিদ হোসেন বলেন, ঢাকা শহরকে নিরাপদ নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সেফ সিটি প্রকল্পের আওতায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়ও ৫০০ পয়েন্টে ক্যামেরা বসানো হবে। রাজধানীবাসীর নিরাপত্তার জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্নস্থানে যে সিসি ক্যামেরাগুলো দেখা যায় সেগুলো এলাকাভিত্তিক, ব্যক্তিগত প্রয়োজনে এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নিজস্ব উদ্যোগে হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে সেগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করার মতো ব্যবস্থা নেই।
এর আগেও ঢাকা নগরে এলাকাভিত্তিক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও তার সুফল পুরোপুরি পাওয়া যায়নি। আইন শৃংখলা বাহিনী বলছে, সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে যত বেশি ক্যামেরা বসানো হবে ততটাই নিরাপদ হবে শহর।
ডিএমপির একাধিক সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে এলাকাভিত্তিক সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নেয় ধানমণ্ডি, তেজগাঁও, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা পশ্চিমসহ ঢাকার কয়েকটি থানা। পরবর্তী সময়ে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতনে আইন-শৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটি (ল অ্যান্ড অর্ডার কো-অর্ডিনেশন কমিটি বা এলওসিসি) ওই এলাকায় এক হাজার ২০০ সিসি ক্যামেরা বসায়। গুলশান ফাঁড়িতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বসিয়ে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অন্যদিকে কিছু এলাকার মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের অল্প পরিমাণ সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সেগুলো দিয়ে যানবাহনের বিরুদ্ধে ভিডিও মামলা করা হয়। তবে গুলশানের কার্যক্রম ছাড়া এলাকাভিত্তিক কার্যক্রমগুলো সফল হয়নি। সড়কের মোড়ের ক্যামেরাগুলো এখন প্রায় অকেজো।
ডিএমপির এক উপ-কমিশনার পদমর্যাদার (ট্রাফিক) জানান, সেফ সিটির মাধ্যমে অনেক ক্যামেরা বসানো হবে। ওই প্রকল্পের ক্যামেরার সঙ্গে শুধু ক্রাইম অবজারবেশন নয়, ট্রাফিক সিস্টেমসহ অনেক ফিচার যোগ করা হবে।
পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানায়, করোনার কারণে দেরি হলেও শিগগিরই প্রকল্পটি যাচাই-বাছাই শেষে পুলিশের পক্ষ থেকে ডিপিপি আকারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ক্যামেরাগুলো হবে জার্মানির উন্নত প্রযুক্তির, যা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডার ব্যবহার করে অপরাধীকে শনাক্ত করবে। ক্যামেরাগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পুলিশ সদর দফতরের আইসিটি শাখাকে দায়িত্ব দেয়া হবে বলেও জানান।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :