atv sangbad

Blog Post

atv sangbad > খেলাধুলা > শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাকিবের খেলা নিয়ে সংশয়ে প্রধান নির্বাচকরা!

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাকিবের খেলা নিয়ে সংশয়ে প্রধান নির্বাচকরা!

আইসিসির নিষেধাজ্ঞামুক্ত হবে ২৯ অক্টোবর

মাঠে-মাঠে ডেস্ক
আগামী ২৯ অক্টোবর আইসিসির নিষেধাজ্ঞামুক্ত হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। দেশসেরা ক্রিকেটার ও সব সময়ের সফলতম পারফরমার আসলে কবে ফিরবেন? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে সত্যি সত্যিই বল ও ব্যাট হাতে তাকে দেখা যাবে? তা নিয়ে রাজ্যের কৌতুহল, জল্পনা-কল্পনা। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি চান সাকিব যেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেই মাঠে ফিরতে পারেন। কিন্তু সেটা বাস্তবে কতটা সম্ভব? তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। কথা বলে জানা গেছে, খোদ প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুই সংশয়ে।
আইসিসির নিষেধাজ্ঞা এমন যে, শাস্তিমুক্ত হওয়ার ১ মিনিট আগেও সাকিব জাতীয় দলের সাথে মিশতে পারবেন না। কোনোরকম অনুশীলন করা, ট্রেনিং সেশনে সময় কাটানো, টিম মিটিংয়ে অংশ নেয়া, টিম বাসে করে অনুশীলনে থাকা বহুদূরে, টিম হোটেলেও থাকার অনুমতি নেই। তাই তার পক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামাও কঠিন।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর সাথে কথাতেও এমন সংশয়। নান্নু বলেন, আমরাও চাই সাকিব দ্রুত মাঠে ফিরুক। আর একটা প্ল্যাটফর্ম যেহেতু তৈরি প্রায়, সেটা কাজে লাগিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে মাঠে ফিরে আসুক সাকিব। সেটা কায়মনে চাই আমরাও। তবে সেই ফেরাটা আসলে কোন ম্যাচে হবে, তাই ভাবছি। কেন, অত ভাবাভাবির কি আছে? বোর্ড প্রধান তো বলেই দিয়েছেন, সাকিব দ্বিতীয় টেস্টেই খেলবেন। নান্নুর জবাব, ‘হ্যাঁ, তা বলেছেন। পাপন ভাই (বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান) বোর্ডের তথা আমাদের অভিভাবক। তিনি বলেছেন, মানে বোর্ডের সর্বোচ্চ কর্তা ব্যক্তির ইচ্ছে। আমরাও চেষ্টা করবো তা বাস্তবায়ন করতে। সাকিবের মত বড়মাপের ক্রিকেটার ও দারুণ পারফরমারের সার্ভিস বেশি পেলে তো আমাদেরই সুবিধা। আমরাও চাই তাকে যত বেশি ম্যাচ খেলানো যায়। তাহলে আর সমস্যা কি? নান্নুর ব্যাখ্যা, তেমন বড় কোনো সমস্যা নেই। তবে সত্যিই সাকিবকে আমরা দ্বিতীয় টেস্টেই (শ্রীলঙ্কা সফরে) খেলাতে পারবো কি না, তা নিয়ে আছে সংশয়।
নান্নুর ধারণা, হয়তো শেষ টেস্টের আগে মাঠে নামা না-ও সম্ভব হতে পারে সাকিবের। জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘ধরে নিলাম সাকিব আগে থেকে ফিটনেস ও স্কিল ট্রেনিং করে পুরোপুরি প্রস্তুত থাকলো। তারপরও কিছু বাস্তব কারণ আছে প্রতিবন্ধকতা হয়ে। আমরা সাকিবকে ২৯ অক্টোবরের আগে কাছে পাব না। ২৮ অক্টোবর রাত ১২টা অবধি আইসিসির চোখে সাকিব নিষিদ্ধ ক্রিকেটার। তাকে দলে নেয়া, প্লেয়ার্স লিস্টে তার নাম দেয়া বা দলভুক্ত করা যাবে না। টিম হোটেল, প্র্যাকটিস কোথাও তাকে সম্পৃক্ত করার সুযোগ নেই।
নান্নু যোগ করেন, ধরুন প্রথম টেস্ট ৫ দিনে গড়ালো বা শেষ হলো, তখন আমাদের পুরো টিম ম্যানেজমেন্টের চিন্তাভাবনা মনোযোগ সবই থাকবে ম্যাচকেন্দ্রিক। ২৯ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা ওঠে গেলেই সাকিব দলের সাথে যোগ দিতে পারবে, তার আগে নয়। যদি তাই হয়, তাহলে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে হলে সে সর্বোচ্চ এক থেকে দুই দিন দলের সাথে ট্রেনিং করতে পারবে। যতদূর জেনেছি ৩১ অক্টোবর, না হয় ১ নভেম্বর শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। যেহেতু টেস্ট বড় ফরমেটের খেলা। হঠাৎ দলে এসেই টেস্ট একাদশে জায়গা করে নেয়া সহজ নয়, মনে করেন নান্নু। তাই সাকিবকে নিয়ে তাড়াহুড়ো করার পক্ষপাতী নন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক।
তার ভাষায়, ‘টেস্টের দু’দিন আগে দলের সাথে যুক্ত হওয়া সাকিবকে খেলানো যাবে কি না, সংশয় থেকেই যায়। খেলাটা টি-টোয়েন্টি হলে কথা ছিল না। ৫ দিনের ম্যাচ তো! এক বছরের বেশি সময় দলের ও ক্রিকেটের বাইরে থেকে নিজে নিজে অনুশীলন করে হঠাৎ নিজেকে ফিরে পাওয়াও কঠিন। আমার মনে হয় সাকিব তৃতীয় টেস্ট খেললেই ভালো হবে। তার আগে সে অন্তত ৮-১০ দিন সময় পাবে, সে সময়ে সে দলের সাথে মিশে যেতে পারবে। নান্নুর শেষ কথা, ‘অবশ্য আমার মতামতই সব নয়। বোর্ড সভাপতি পাপন ভাইয়ের ইচ্ছা সবার আগে। তিনি চেয়েছেন, আমরা সবরকমভাবে চেষ্টা করবো। তবে এক্ষেত্রে কোচের ভাবনা কি, সেটাও দেখার বিষয়। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো আসবেন। সাকিব ইস্যুতে কোচ ডোমিঙ্গোর মতামত অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দেখা যাক, তিনি কি বলেন।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :