atv sangbad

Blog Post

atv sangbad > অপরাধ-অনুসন্ধান > এনএসআই কর্মকর্তা দম্পতির বিপুল অবৈধ সম্পদ

এনএসআই কর্মকর্তা দম্পতির বিপুল অবৈধ সম্পদ

নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ : 

আলাদিনের চেরাগ পাওয়ার মতই হঠাৎ করেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) এক কর্মকর্তা। সরকারি চাকরি করে ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় জমি ও ফ্ল্যাটসহ বিপুল সম্পত্তি গড়েছেন তিনি। অস্থাবর-স্থাবর মিলিয়ে এই সম্পদের মূল্যমান তার চাকরি জীবনের মোট আয়ের প্রায় ছয়গুণ। শুধু নিজের নামেই সম্পত্তি নয়, স্ত্রীর নামেও করেছেন একাধিক জমি ও ফ্ল্যাট। এছাড়াও ব্যাংকে তার স্ত্রীর ১২৫ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্যও পাওয়া গেছে।

আকরাম হোসেন নামের এই কর্মকর্তা বর্তমানে এনএসআইয়ের সহকারী পরিচালক। আর তার স্ত্রী সুরাইয়া পারভিন এখন কয়েকটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মালিক।

অনুসন্ধান বলছে, ৩৫ বছরের চাকরিতে বেতনসহ দেড় কোটি টাকা আয় করেন আকরাম হোসেন। কিন্তু জমি, ফ্ল্যাটসহ প্রায় ৯ কোটি টাকার সম্পত্তি গড়েছেন। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ইতোমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই দম্পত্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান। এর আগে মশিউর রহমান দুদকের তদন্ত শাখায় ১২ মার্চ ১৬ পাতার একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করেন।

কে এই আকরাম হোসেন

আকরাম হোসেন ১৯৬৮ সালের ১ আগস্ট নাটরের দিঘাপতিয়ার নওপাড়া এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মৃত আসাদ আলী। বিএ পাস করা আকরাম হোসেন ১৯৮৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর নিম্নমান সহকারী হিসেবে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরে (এনএসআই) যোগদান করেন। ১৯৯১ সালের ১৫ জুন সুরাইয়া পারভীনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে তাদের ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। ছেলে মো. তানভীর হোসেন এআইইউবি থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে বর্তমানে এনএসআইতে সহকারী পরিচালক হিসেবে চাকরী করছেন। এক সময় তানভীর ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এজেন্সির মালিক ছিলেন। মেয়ে আনিকা হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এন্ড এন্টারপ্রেনারশিপ বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। ১৯৯৭ সালের ৯ নভেম্বর বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে জুনিয়র ফিল্ড অফিসার পদে পরীক্ষা দিয়ে যোগদান করেন আকরাম হোসেন। এরপর ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর সহকারী পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন।

আকরামের যত স্থাবর সম্পদ

এনএসআই কর্মকর্তা আকরাম হোসেনের অঢেল সম্পদের তথ্য পেয়েছে । টানা অনুসন্ধান ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায় শুধুমাত্র নিজ গ্রাম নাটোরেই তার এক কোটি ৮ লাখ ১৫ হাজার ৭৬২ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। এছাড়াও ঢাকায় রয়েছে তার নামে ছয় কোটি ৩১ লাখ ৫৫ হাজার ৯২৪ টাকার স্থাবর সম্পত্তি। কক্সবাজারের টেকনাফেও আকরাম হোসেনের নামে নাল জমি রয়েছে।

নাটোর সদর এলাকার নাটোর সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ১৯৯৯ সালের ১ জানুয়ারির দলিল নং ৯৩৫৩, ২০০২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দলিল নং-৮০০০, ২০০২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর দলিল নং- দলিল নং-৯১৯৯, ২০০৩ সালের ২২ জানুয়ারি দলিল নং- ৭৭১, ২০০৫ সালের ৯ জুন দলিল নং-৫০১৬, ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর দলিল নং-১০২১৯, ২০১৫ সালের ৫ নভেম্বর দলিল নং-৯৫৮২, ৯৫৮৩ ও ১৭২৭, ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই দলিল নং-৫৪২৭, ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর দলিল নং-১২১৬, ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি দলিল নং-৩৬৫, ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর দলিল নং-৯৫৮৭ এর মাধ্যমে সেখানে বর্তমানে আকরাম হোসেন ১ কোটি ৮লাখ ১৫ হাজার ৭৬২ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তির মালিক।

এছাড়াও ঢাকা ও কক্সবাজারে রয়েছে তার নামে ছয় কোটি ৩৯ লাখ ৮০ হাজার ৯২৪ টাকার স্থাবর সম্পত্তি। বর্তমানে আকরামের আট কোটি ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৮৮৭ টাকার সম্পদের তথ্য রয়েছে  কাছে।

স্ত্রী সুরাইয়ার যত সম্পদ

এনএসআই কর্মকর্তা আকরাম হোসেনের স্ত্রীর অঢেল সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২১ সালের ৩০ জুন রাজধানীর মিরপুরে ২০ লাখ ৫৮ হাজার ৮৬০ টাকা মূল্যের ৯৮০ বর্গফুট ফ্ল্যাট কিনেছেন তিনি। মিরপুরের দলিল নং-৮৬০৬। ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর একই এলাকায় ৩৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকা মূল্যের ১৬৫০ বর্গফুট বিশিষ্ট কমার্শিয়াল স্পেস রয়েছে সুরাইয়া পারভিনের নামে, যার দলিল নং-১২১৮১। ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল ২২লাখ টাকা দিয়ে ১৪৮২ বর্গফুট ফ্ল্যাট কিনেছেন মিরপুর এলাকাতেই। যার দলিল নং-৪৪২৪। এছাড়াও নাটোর সদরে ২০১৯ সালে ২১ আগস্ট ১৮লাখ ৭হাজার টাকা দিয়ে ১৫ শতাংশ কৃষি জমি কিনেছেন্দম তিনি। যার দলিল নং- ৭০৪২।

আকরাম হোসেনের স্ত্রীর মোট ৯৬ লাখ ২৯ হাজার ৮৬০ টাকা স্থাবর সম্পত্তির তথ্য পাওয়া গেছে। তার নামে অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তিন কোটি ১৪ লাখ ৬১হাজার ৯১৯টাকার। এরমধ্যে সুরাইয়া পারভিনের নামে ২৪লাখ টাকা মূল্যের টয়েটো ফিল্ডার (ঢাকা মেট্রো গ-৩৫০১৫০) গাড়ি রয়েছে। এছাড়াও লিরা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস লিমিটেড প্রতিষ্ঠানে পাঁচ লাখ টাকার বিনিয়োগসহ তার ব্যবসায়িক পুঁজি রয়েছে আরও দুই কোটি ৮০ লাখ ৪১ হাজার ৯১৯ টাকা। স্টার ইলেকট্রা ওয়ার্ল্ড বানে রয়েছে আরও একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও সুরাইয়া পারভিনের নামে অন্যান্য স্থাবরসহ মোট তিন কোটি ১৪ লাখ ৬১ হাজার ৯১৯ টাকার স্থাবর সম্পত্তির তথ্য পেয়েছে।

স্ত্রীর ৫৯ লাখ টাকা উপহার নিয়ে রহস্য

নিজের অপকর্ম ঢাকতে আকরাম জড়িয়েছেন তার স্ত্রীকেও। এজন্য স্ত্রীর কাছ থেকে উপহারের নামে মোটা অংকের অর্থ লেনদেন করেছেন, যা তাদের আয়কর নথিতে উল্লেখ রয়েছে। তবে এসব লেনদেনের সঠিক তথ্য তারা দিতে পারেননি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আকরাম হোসেন ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৩৯ লাখ টাকা ও ২০১৭-২০১৮ করবর্ষে ২০ লাখ টাকাসহ মোট ৫৯ লাখ টাকা তার স্ত্রী সুরাইয়া পারভিনের কাছ থেকে উপহার প্রাপ্ত হন। বিষয়টি তাদের আয়কর নথিতে উল্লেখ থাকলেও বিপুল পরিমাণ এই টাকা উপহার প্রদান সংক্রান্ত তাদের কোন ব্যাংক ট্রান্জেকশন পাওয়া জায়নি। কোথা থেকে এলো এই টাকা আর কীভাবে হয়েছে এই লেনদেন তা রহস্য রয়ে গেছে। তথ্য বলছে আকরাম হোসেন তার অবৈধ অর্থ বিভিন্ন একাউন্ট থেকে নিজ অ্যাকাউন্টে এনে তা স্ত্রীকে দান হিসেবে প্রদর্শন করার অপচেষ্টা করেছেন।

স্ত্রী সুরাইয়ার অ্যাকাউন্টে ১২৫ কোটি টাকার লেনদেন

আকরাম হোসেনের স্ত্রী সুরাইয়া পারভীন ব্যবসা করেন মর্মে আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করেছেন। তবে তার নিজ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত যেসব ব্যাংকিং লেনদেন করেছেন তা অস্বাভাবিক। সুরাইয়া পারভিন ব্যাংকিং লেনদেনের হিসাব বলছে তিনি ২০০৯-২০২৩ সাল পর্যন্ত ১২৫ কোটি ২৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৪ টাকা উত্তোলন করেছেন। জমা করেছেন ১২৬ কোটি ৩৩ লাখ ১৫ হাজার ১৪৪ টাকা।

এই ১৮ বছর সুরাইয়া পারভিন বেসিক ব্যাংকের কাওরান বাজার শাখা, ইস্টার্ন ব্যাংকের শান্তিনগর শাখা, সোনালী ব্যাংকের সেগুনবাগিচা শাখা, ইসলামী ব্যাংকের মিরপুর শাখা, ডাচ বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখা, উত্তরা ব্যাংকের রোকেয়া সরণী শাখা, পূবালী ব্যাংকের মিরপুর শাখা এবং ইউসিবি ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে লেনদেন করেছেন।

এর মধ্যে বেসিক ব্যাংকের কাওরান বাজার শাখায় মোট ৭৭ কোটি ৫৪ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৫ টাকা জমা করেছেন। উত্তোলন করেছেন ৬ কোটি ৬৭ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৪ টাকা।

ইস্টার্ন ব্যাংকের শান্তিনগর শাখায় মোট ১০ কোটি ৪৪ লাখ ১৯ হাজার ৭১৭ টাকা জমা এবং ১০কোটি ৬২ লাখ ১৮ হাজার ২৮৯ টাকা উত্তোলন করেন।

ইসলামী ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ৮ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার ৪৬৪ টাকা জমা এবং ৮কোটি ৬৯ লাখ ৮৫ হাজার ৪১২ টাকা উত্তোলন, সোনালী ব্যাংকের সেগুনবাগিচা শাখায় ৩৭ লাখ ৩৪হা জার ৯২১ টাকা জমা এবং ৩৫ লাখ ৮৬ হাজার ৮২৮ টাকা উত্তোলন, ডাচ বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখায় ১৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫৪ হাজার ৩৯৬ টাকা জমা এবং ১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৫৭ হাজার ৯৭৭ টাকা উত্তোলন, উত্তরা ব্যাংকের রোকেয়া সরণি শাখায় ১ কোটি ৩৩ লাখ ৪৪ হাজার ৭৭৫ টাকা জমা এবং ১ কোটি ৩৩ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫০ টাকা উত্তোলন, পূবালী ব্যাংকের মিরপুর শাখায় ১১ কোটি ২০লাখ ৬৪ হাজার ১২৪ টাকা জমা এবং ১১ কোটি ২০ লাখ ৬৪ হাজার ১২৪ টাকা উত্তোলন করেছেন।

এছাড়াও ইউসিবি ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪২ টাকা জমা এবং ২ কোটি ৪০ লাখ ৬৬ হাজার ৮৮ টাকা উত্তোলন করেছেন।

একজন সরকারি চাকরিজীবীর স্ত্রীর এত টাকা লেনদেন যেন আলাদিনের চেরাগ পাওয়ার মতো অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কত টাকা আয়-ব্যয় করেছেন আকরাম

অনুসন্ধান বলছে, আকরাম হোসেনের নামে মোট সাত কোটি ৪৮ লাখ ৬৪ হাজার ৩৮৬ টাকা স্থাবর ও ৬৩ লাখ ১৯ হাজার ৫০১ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এতে তার মোট সম্পদ দাঁড়ায় আট কোটি ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৮৮৭ টাকা।

এসব সম্পদের বিপরীতে আকরাম হোসেনের বৈধ আয় এক কোটি ৬৬ লাখ ৬০ হাজার ২১ টাকা ও ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ৫৮৪ টাকা ব্যয়ের তথ্য পাওয়া গেছে।

আকরাম হোসেনের নামে স্থাবর সম্পদ এবং উপহার হিসেবে প্রাপ্ত স্বর্ণালংকার ছাড়া ব্যাংকস্থিতি, আসবাবপত্র ক্রয়, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ক্রয়, অন্যান্য বিনিয়োগ এবং হাতে নগদ ও অন্যান্যসহ মোট আট কোটি ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৮৮৭ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।

পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় ২৫ লাখ ১৫ হাজার ৪৯৬ টাকা। ফলে ব্যয়সহ তার মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় আট কোটি ৩৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩৮৩ টাকা।

তবে আকরাম হোসেনের আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী তার বৈধ আয় পাওয়া যায় এক কোটি ৬৬ লাখ ৬০ হাজার ২১ টাকা। অর্থাৎ মোট সম্পদ থেকে আয় বাদ দিলে ছয় কোটি ৭০ লাখ ৩৯ হাজার ৩৬২ টাকার তথ্য পাওয়া যায়, যা তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত।

এ বিষয়ে আকরামের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

দুদকের অনুসন্ধান যা বলছে

আকরাম সুরাইয়া দম্পতির অঢেল সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তদন্ত করে মামলা করেছে দুদক। দুদকের তদন্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আকরাম হোসেনের নামে সাত কোটি ৪৮ লাখ ৬৪ হাজার ৩৮৬ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ এবং উপহার হিসেবে প্রাপ্ত স্বর্ণালংকার ব্যতীত ব্যাংক স্থিতি, আসবাবপত্র ক্রয়, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ক্রয়, অন্যান্য বিনিয়োগ এবং হাতে নগদ ও অন্যান্যসহ মোট ৬৩ লাখ ১৯ হাজার ৫০১ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদসহ সর্বমোট আট কোটি ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৮৮৭ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে দুদক। তাদের রেকর্ডপত্র অনুযায়ী পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় ২৫ লাখ ১৫ হাজার ৪৯৬ টাকা। ফলে ব্যয়সহ তার মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় আট কোটি ৩৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩৮৩ টাকা।

অন্যদিকে আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী তার বৈধ আয় পাওয়া যায় এক কোটি ৬৬ লাখ ৬০ হাজার ২১ টাকা। তাহলে মোট সম্পদ থেকে আয় বাদ দিলে ছয় কোটি ৭০ লাখ ৩৯ হাজার ৩৬২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের তথ্য উঠে আসে দুদকের তদন্তে।

এদিকে আকরামের স্ত্রীর অস্বাভাবিক ব্যাংকিং লেনদেনের তথ্য পায় দুদক। পাশাপাশি তার আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য খুঁজে পান তারা।

দুদকের তথ্য বলছে সুরাইয়া পারভীনের নামে ৯৬ লাখ ২৯ হাজার ৮৬০ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ এবং উপহার হিসেবে প্রাপ্ত স্বর্ণালংকার ব্যতীত ব্যাংক স্থিতি, আসবাবপত্র ক্রয়, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ক্রয়, অন্যান্য বিনিয়োগ এবং হাতে নগদ ও অন্যান্যসহ মোট তিন কোটি ১৪ লাখ ৬১ হাজার ৯১৯ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদসহ সর্বমোট চার কোটি ১০ লাখ ৯১ হাজার ৭৭৯ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এছাড়া তার রেকর্ডপত্র অনুযায়ী পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ মোট সম্পদের পরিমাণ ৬ কোটি ১২ লাখ ৫৮ হাজার ৯৯৬ টাকা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :