atv sangbad

Blog Post

atv sangbad > আন্তর্জাতিক > সময় এসেছে এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার:বাইডেন

সময় এসেছে এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার:বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এটিভি সংবাদ :

ফিলিস্তিনের গাজায় প্রায় আট মাস ধরে ইসরাইল সর্বাত্মক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু প্রশাসন গাজায় হামাস নির্মূলের নামে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ত্রাশ চালিয়ে যাচ্ছে। এর মূল ইন্ধনদাতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরকার। তবে এবার ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাইডেন। শুক্রবার (৩১ মে) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের পক্ষ থেকে গাজার স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে একটি নতুন প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এ প্রস্তাবটি তিন-পর্যায়ে বিভক্ত। প্রথম পর্যায়ে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। এর মধ্য দিয়ে গাজার সমস্ত জনবহুল এলাকা থেকে ইসরাইলি বাহিনীকে সরিয়ে নেয়া হবে।

হোয়াইট হাউসে বাইডেন গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য একটি রোড ম্যাপের প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেন। এ ধরনের প্রস্তাব আগে কখনও হামাসকে দেয়া হয়নি। তিনি হামাসকে এ প্রস্তাব মেনে নেয়ার আহ্বান জানান। তার ভাষ্যমতে, ’গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার এখনই সময়।’
 
হোয়াইট হাউসের দেয়া এ ভাষণের মধ্য দিয়ে বাইডেন ইসরাইল-গাজা যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিয়েছেন। তবে তিনি দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে ইসরাইলের হামলার বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।
 
চলতি বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে জো বাইডেনের প্রতিদ্বন্দী হয়ে লড়বেন ৭৭ বছর বয়সি রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের আগে গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে বাড়িতে চাপের মধ্যে রয়েছেন বাইডেন। কারণ ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ক্যাম্পাস বিক্ষোভসহ নিজদলীয় নেতারাও ক্ষুব্দ বাইডেনের ওপর।
ইসরাইলের নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যা আছে
বিবিসি জানিয়েছে, ইসরাইলের নতুন প্রস্তাবটি তিনটি পর্যায়ে বাস্তবায়ন করার কথা বলা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে। এ সময়ে গাজার সব জনবহুল এলাকা থেকে ইসরাইলি সেনাদের তুলে নেয়া হবে। যুদ্ধবিরতির সময় হামাস ‘নির্দিষ্ট সংখ্যক’ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। তাদের মধ্যে নারী, বয়স্ক ব্যক্তি এবং আহত জিম্মিরা থাকবেন। এর বিনিময়ে ইসরাইলি বন্দি থাকা কয়েক শ মানুষকে মুক্তি দেয়া হবে।
এসময় গাজার সব এলাকায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িঘরে ফিরতে সুযোগ দেয়া হবে। সেই সঙ্গে গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বাড়ানো হবে। এই যুদ্ধবিরতি চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্ততায় শান্তি আলোচনা চলমান থাকবে। যদি আলোচনা সফল হয়, তাহলে পরবর্তী পর্যায়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করা হবে।
 
দ্বিতীয় পর্যায়ে বাকি জীবিত জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস। সেই সঙ্গে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর সর্বশেষ সেনাকেও সরিয়ে নেয়া হবে। যুদ্ধবিরতিকে ‘স্থায়ীভাবে শত্রুতা বন্ধে’  উন্নীত করা হবে।
 
তৃতীয় পর্যায়ে জিম্মি ফেরানোর প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ করা হবে। গাজার জন্য বড় ধরনের একটি ‘পুনর্গঠন পরিকল্পনা’ বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। এর আওতায় মার্কিন ও আন্তর্জাতিক সহায়তায় গাজা উপত্যকায় বাড়ি, বিদ্যালয় ও হাসপাতাল পুনর্নির্মাণ করা হবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :