আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
উত্তর কোরিয়া বলেছে তারা পানির তলদেশে পারমাণবিক অস্ত্রব্যবস্থার পরীক্ষা চালিয়েছে। এটি মূলত পানির তলদেশ থেকে ড্রোনের সাহায্যে গোপনে শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ও বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় পারমাণবিক হামলার একটি ব্যবস্থা।
যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের এক যৌথ নৌ মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় এ পরীক্ষা চালানো হয়েছে। আজ (শুক্রবার) উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
আমেরিকার নেতৃত্বাধীন মহড়ার প্রসঙ্গে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ত্রিদেশীয় এ মহড়া উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। সে কারণে এর জবাব দিতে পিয়ংইয়ং কোরিয়ার ইস্ট সিতে (জাপান সাগর) পানির তলদেশে নির্মাণাধীন ‘হাইল-৫-২৩’ পারমাণবিক অস্ত্রব্যবস্থার পরীক্ষা চালিয়েছে। তিন দেশের এ ধরনের মহড়ার কারণে আঞ্চলিক পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে বলে উত্তর কোরিয়া সতর্ক করেছে।
গত বছর উত্তর কোরিয়া দাবী করেছিল পানির তলদেশে পারমাণবিক হামলা চালানোর সক্ষমতাসম্পন্ন একটি ড্রোনের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা চালিয়েছে। এটি ছিল হাইল-এর ভিন্ন একটি সংস্করণ। কোরীয় ভাষায় হাইল-এর অর্থ হলো সুনামি। উত্তর কোরিয়ার দাবি, হাইল ‘তেজস্ক্রিয় সুনামি’ ঘটাতে সক্ষম। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান দক্ষিণাঞ্চলীয় জেজু দ্বীপে নৌ মহড়া চালায়। দেশগুলোর দাবি, উত্তর কোরিয়ার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জবাবে তারা এ মহড়া চালিয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসনসহ নয়টি যুদ্ধজাহাজ অংশ নিয়েছিল।