অনলাইন ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
সরকারবিরোধী গুজবের জবাব দিতে ছাত্রলীগের ১০ হাজার নেতাকর্মীকে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। দেশজুড়ে অনলাইন ক্যাম্পেইনের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য প্রশিক্ষকদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী কর্মশালা ‘দ্য ড্রিল’র উদ্বোধন করা হয়েছে। ৭০ জন প্রশিক্ষক কর্মশালা শেষে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে।
এসময় আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য ও সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন প্রফেসর মোহাম্মাদ আলী আরাফাত এবং আওয়ামী লীগ ওয়েব টিমের সমন্বয়ক ও সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) কো-অর্ডিনেটর তন্ময় আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
কবির বিন আনোয়ার বলেন, আমার সামনে যারা বসে আছ, তারা হাজার বছরের বাঙালি জাতির পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বের হয়ে আসা রক্তের সাক্ষ্য বহন করছ। আত্মত্যাগ কীভাবে করতে হয় এটা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার দেখিয়ে দিয়েছে। জাতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হারিয়েছেন। অসংখ্যবার তাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। ২০২১ সালে মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশের অবস্থানে নিয়ে এসেছেন তিনি।
ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মাদ আলী আরাফাত বলেন, রিয়েল ওয়ার্ল্ডের পাশাপাশি যখন ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড গড়ে ওঠা শুরু করল তখন আমাদের যুদ্ধ সেখানে অনেকটা শিফট হয়ে গেছে। সেখানে আমাদের বিরোধী পক্ষগুলো এতটাই সংগঠিতভাবে গুজব ও মিথ্যাচার প্রচার করা শুরু করেছে যে সত্যটা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই অনেকটা বেগ পেতে হয়। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা মাঠে-ঘাটে ময়দানে যেভাবে যুদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। সাইবার দুনিয়াতেও আমরা সেভাবেই যুদ্ধ চালিয়ে যাব আরও সুসংহত ও প্রশিক্ষিত হয়ে। আওয়ামী লীগ সাইবার দুনিয়ায় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এই শক্তির গুজব মোকাবিলা করবে। আর একটি গবেষণায় এসেছে, গুজব সত্য তথ্য থেকে ৬ গুণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তাই আমাদের দশগুণ বেশি পরিশ্রম করতে হবে গুজব মোকাবিলায়।
আওয়ামী লীগ ওয়েব টিমের সমন্বয়ক ও সিআরআই কো-অর্ডিনেটর তন্ময় আহমেদ বলেন, সঠিক তথ্য, নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় কীভাবে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়- প্রশিক্ষকদের এই কর্মশালায় আমরা সেটা শেখাব। তারা জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন। পাশাপাশি ওই এলাকার সমস্যাগুলো নিয়ে একটা ফিডব্যাক তারা নিয়ে আসবেন, যাতে আমারা সেগুলো সমাধান করতে পারি।
গত ২২ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষকদের ‘দ্য ড্রিল’ কর্মশালা শেষ হবে ২৩ সেপ্টেম্বর। এ দুইদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিবিধ ব্যবহারের পাশাপাশি খুঁটিনাটি আরও বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।