আরিফুল ইসলাম, রংপুর, এটিভি সংবাদ
সরকারের নির্ধারিত বেধেঁ দেয়া দামে আলু বিক্রির কার্যক্রমে আদাঝাল খেয়ে অভিযানে নেমেছে ভোক্তা অধিদপ্তর। গত পনেরদিন ধরে খুচরা, পাইকারি ও অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে আলুর দাম বৃদ্ধি করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছিল। কতিপয় মজুদদার ও ব্যবসায়ীরা। হঠাৎ করে আলুর উত্তিবাজারে জনগণের নাভিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছিলো। এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের বিভান্ত। এর পরেই মাঠে নামতে শুরু করে ভোক্তা অধিদপ্তরসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। রংপুর জেলার বিভিন্ন কোল্ড স্টরেজসহ বাজারগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেছে। করা হচ্ছে জরিমানাও। প্রতি কেজি আলুর দাম ৮ থেকে ১০ টাকা কমে যাওয়ার ফলে স্বস্তি প্রকাশ করেছে নিম্ন আয়ের মানুষজন।
এদিকে ক্রেতারা বলেন। আরোও শক্তভাবে অভিযান করার দাবি জানান। এছাড়াও শাক-সবজি সহ অন্যান্য কাঁচামাল জাতীয় জিনিসপত্রের দাম কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তবে গত কয়েকদিনের ভারিবৃষ্টি পাতের কারণে শাক-সবজির দাম বাড়ার আশংকা করছেন ক্রেতারা। তবে সব সময় বাজার মনিটরিং করলে বাজার সমনীয় থাকলে বলে মনে করেন।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, রংপুর নগরীর বাজারগুলোতে গত পনেরদিন আগে বাজারে ৩১ থেকে ৩২ টাকা দরে আলু বিক্রি হচ্ছিল। বর্তমানে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করছে। হঠাৎ করে আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পরেছে খেটে খাওয়া মানুষ।
এদিকে বিভিন্ন বাজারে পাইকাররা আলু বিক্রি করছেন, কার্ডিনাল ৩৫-৩৬ টাকা , শিল আলু ৪৭-৪৮ টাকা, ঝাউ ৫৪-৫৫ কেজি বিক্রি করছেন। এছাড়া পেঁয়াজ (এলসি) ৩৬ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, মরিচ ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে বাজারগুলোতে।
অন্যদিকে খুদ্য ব্যবসায়ীরা বাজারে বিক্রি করছেন, কার্ডিনাল আলু ৩৮-৪০ টাকা, সাদা দেশি আলু ৫০-৫২ টাকা এবং ঝাউ ৫৫-৬০ টাকা, শিলআলু ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে দাম কমতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভোক্তা অধিকারসহ প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নামাতে সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে, একারণে দামও কমতে শুরু করেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, আলুর বাজার বড় বড় কোল্ড স্টোরেজে আলু সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে, তারা সরকারি দাম অনুযারী বিক্রি করছেনা। আমাদেরকে বেশি দাম দিয়ে আলু কিনতে হয় বিদায় বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
এদিকে নগরীর বাহিরে গ্রামঞ্চল গুলোর হাট-বাজারে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, শুধু আলু নয় ডিম ও পিঁয়াজের কৃত্রিম সংকটও দেখা যায়। অভিযানের সময় দাম কমালেও পড়ে তারা আবার চড়া দামে বিক্রি করছে। তবে সরকারের তৎপরতায় দ্রব্যমূল্যের দাম অনেকটােই কমে এসেছে।
রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, শনিবার থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে। পর্যায়েক্রমে সবগুলো বাজারেই হবে। কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে বিক্রি করতে পারবে না। এটা আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবগুলোকে বাজারে একযোগে ৩৬ টাকা কেজিতেই আলু বিক্রি হবে। তবে কেউ যদি কোনো ধরনের সেন্ডিকেট করার চেষ্টা করে তাদের প্রতি আইনের ব্যবস্থা নেওার কথায় জানান।
ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের উপপরিচালক আজহারুল ইসলাম জানান, সরকারের নির্ধারিত দমের বািইরে কেউ যাতে আলু বিক্রি করতে না পারে সে ব্যপারে আমারা সজক আছি। সরকারের আইন না মেনে ক্রয়-বিক্রয় করে আমরা জানতে পারলে আইনহত ব্যবস্থা নিবো।
সরকারের বেধেঁ দেওয়া দামের পাশাপাশি ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান চলমান থাকলে দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে এমনটাই মনে করছেন ক্রেতারা।