বাজার পরিচালনায় সিন্ডিকেট, অসহায় সাধারণ মানুষ!
বিশেষ প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
এদেশে কোনো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নতুন কিছু নয়! বিশেষ করে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বিশেষ দিনে লাগামহীনভাবে বাড়িয়ে দেয় দ্রব্যমূল্যের দাম। নেই কোনো শাসন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের তদারকি। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলছে সকল কার্যক্রম। তা নাহলে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঠিক আগে বাজারে কি করে বাড়তে পারে গরু ও খাসির মাংসের দাম? কেজিতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৮০০ থেকে ৮২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। খাসির মাংসও বিক্রি হচ্ছে আগের চেয়ে বেশি দামে। খাসির মাংস সাধারণত ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হলেও গতকাল সোমবার বিক্রেতাদের কেউ কেউ এই মাংসের দাম ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত চেয়েছেন। ব্রয়লার মুরগির কেজি আড়াইশ টাকার বেশি এবং সোনালি মুরগির দাম ছাড়িয়েছে কেজি ৩৫০ টাকা।
বিক্রেতারা বলছেন, ঈদ উৎসবের সময় মাংসের চাহিদা বেড়ে যায়, বেশি বাড়ে মুরগির চাহিদা। এই বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে মাংসের দাম দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে। গত তিন দিনে বাজারে প্রতিদিনই কোনো না কোনো মাংসের দাম বেড়েছে।
আগের দিন সোমবারও রাজধানীর মিরপুরের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৮০০ থেকে ৮২০ টাকা। যা কয়েকদিন আগে বিক্রি হয়েছিল ৭৫০ টাকা। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৫০-২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। অনেকটা একই হারে বেড়েছে সোনালি মুরগির দাম। প্রতি কেজি সোনালি মুরগির দাম এখন ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা।