নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর মতিঝিল ব্যাংক পাড়া কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছে। ঈদুল আজহার ছুটি শেষে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এবারের ঈদে তিনদিনের ছুটির দু’দিনই ছিল সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্র ও শনিবার)। শুধু রোববারের কর্মদিবসে ব্যাংক বন্ধ ছিল। যে কারণে ব্যাংকগুলোতে তেমন একটা চাপ পড়েনি গ্রাহকের। তবে মাসের প্রথম সপ্তাহ হওয়ার কারণে ব্যাংকগুলোতে পেনশনার ও সঞ্চয়পত্রের উপকারভোগীদের উপস্থিতি দেখা গেছে। আবার করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ঢাকার বাইরে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষ্যণীয়।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সবচেয়ে বড় ব্যাংক সোনালীর কর্পোরেট শাখায় গিয়ে দেখা গেছে, হাতে গোনা কয়েকজন গ্রাহক টাকা তোলা ও জমা দেওয়ার জন্য লাইনে অপেক্ষা করছেন। আবার অনেক গ্রাহক এসেছেন সঞ্চয়পত্রের সুদের টাকা তোলার জন্য।
সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার ক্যাশ কর্মকর্তা বলেন, সাধারণ লেনদেনের পাশপাশি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন ও সঞ্চয়পত্রের উপকারভোগীরাই বেশি ব্যাংকে এসেছেন। সব ধরনের লেনদেন চালু থাকলেও ব্যবসায়ীদের টাকা জমা ও তোলার পরিমাণ খুবই কম।
সোনালী ব্যাংকের মতো রূপালী, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় গিয়ে গ্রাহকদের লম্বা লাইন দেখা যায়নি। একই ভাবে গ্রাহকের উপস্থিতি থাকলেও ভিড় নেই মতিঝিলে অবস্থিত বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে।
জানতে চাইলে রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) খান মো. ইকবাল বলেন, গতকাল সোমবার ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের উপস্থিতি রয়েছে, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমসহ সব ধরনের কার্যক্রম চালু রয়েছে।
বেসরকারি ব্যাংকের এমডিদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এতে ব্যবসা বাণিজ্য কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে ব্যাংকগুলোতেও। ছোটো ছোটো আমানতকারীরা টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। জমা হচ্ছে কম।