অনুসন্ধানী প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ
পৃথিবী সৃষ্টি থেকে চলে আসছে স্বার্থন্বেষী ও কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্র যা চলবে পৃথিবী ধ্বংসের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত। এ কুচক্রী মহলের কাজই হচ্ছে সমাজে যারা মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়, অন্যায়ের প্রতিবাদ করে তাদের আত্মমর্যাদার সম্মান ক্ষুন্ন করা। এমনই এক কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন, রাজধানীর উত্তরখান থানাধীন এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম ও সরকারদলীয় আওয়ামী পরিবারের সদস্য।
উত্তরখান মাজার এলাকায় চা বিক্রেতা হাসনা বেগম নামে এক বাদী উত্তরখান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন ১৭ জুন, ২০২২ ইং, মামলা নং-১৯। মামলায় ৩ (তিন) জনকে বিবাদী করা হয়েছে। বিবাদীরা হলেন, ১) সজীব (২৩), পিতা- বাচ্চু মিয়া, মাতা- সোহাগী ২) মো. সোহেল (২১), পিতা- মো. আক্কাস, মাতা- শাহনাজ বেগম এবং ৩) ডিয়ার (২৭), পিতা- প্রফেসর ফজলুল হক, মাতা- শাহিদা বেগম। বিবাদী ১ ও ২ নং অন্য জেলার হলেও বর্তমানে তারা বসবাস করছে উত্তরখান থানাধীন মাজার এলাকায়। ৩ নং বিবাদী যাকে করা হয়েছে (ডিয়ার) সে এলাকার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। উত্তরখান থানাধীন প্লট নং-২৭০ (প্রফেসর বাড়ি), ইসমাইলের খোলা, ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা।
এজাহার থেকে জানা যায়, মামলার বাদী হাসনা বেগম মাজার এলাকায় একটি চায়ের দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। তার কন্যা বৃষ্টি (১৭) উত্তরখান ইউনিয়ন হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। বিগত ২ (দুই) বছর আগে ১ নং বিবাদী সজীবের সঙ্গে বৃষ্টির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে তারা দু’জনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করেছে। তাদের সম্পর্ক গভীর হওয়ায় এক পর্যায়ে বৃষ্টি ১ নং বিবাদী সজীবকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে গত ২১/১২/২০২০ ইং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সজীব মাজার এলাকায় মাসুদের ভাড়াটিয়ার বাসায় নিয়ে বৃষ্টিকে ফুসলিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। সেই থেকে শুরু হয় সজীব ও বৃষ্টির মধ্যে ধর্ষণ খেলা। এমন করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সেই থেকে সজীব একাধিকবার ধর্ষণ করে আসছে বৃষ্টিকে যা এজাহার থেকে জানা যায়।
বাদীর এজাহার থেকে আরো জানা যায়, ২ নং বিবাদী সোহেলের ভাড়াটিয়ার বাসায় সজীব বৃষ্টিকে নিয়ে যায় এবং দু’দিন রেখে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এখানে ২ নং বিবাদী সোহেলের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। যেহেতু বৃষ্টিকে আটকিয়ে ধর্ষণের ঘটনাটি সোহেলের ভাড়াটিয়ার বাসায়, সে ক্ষেত্রে আইনগত প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সোহেল জড়িত থাকতে পারে। কিন্তু এখানে ৩ নং বিবাদী নাহিদ হক ডিয়ারকে এই ঘৃণিত মামলায় জড়ানোর উদ্দেশ্য কি কুচক্রী মহলের?
এটিভি সংবাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরিতে গেলে জানা যায়, একটি স্বার্থন্বেষী মহল এলাকার যুব সমাজের আইডল নাহিদ হক ডিয়ার ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে মরিয়া হয়ে এ কাজ করেছে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে যুবকদের মণিকোঠায় স্থান করে নেওয়া নাহিদ হক ডিয়ার যার বংশের পরিচয় এলাকায় অনেকের চেয়ে অনেক উঁচুতে থাকায় আজ এ চক্রান্ত বলে এলাকাবাসীর ধারণা। পিতা প্রফেসর ফজলুল হক জীবনের শুরু থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন এলাকার উন্নয়নে।
এলাকায় এ কুচক্রী মহল সম্মানিত পরিবারের সদস্য তথা পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এরা সমাজের কীট, মানুষের ক্ষতি করাই এদের কাজ বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এলাকায় সম্মানিত ও বিত্ত বৈভবের মালিক প্রফেসর ফজলুল হকের ছেলে নাহিদ হক ডিয়ারকে মামলায় জড়িয়ে পরিবারের সদস্যদের দুর্বল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলেও জানিয়েছে অনেকে।
বাদীর দায়েরকৃত এজাহার পর্যালোচনায় করে দেখা যায়, এখানে প্রেমঘটিত বিষয়। ১ নং বিবাদী সজীবের সঙ্গে ২ বছর আগে থেকে চলে আসছিল বৃষ্টির প্রেম। বিয়ের প্রলোভনে বৃষ্টির ইচ্ছার বিরুদ্ধে সজীব করে আসছিল ধর্ষণ। বাদী জানতেন সবই তবে ২ বছর আগে কেনো হয়নি সজীবের নামে এ ধর্ষণ মামলা? জানা যায় সদ্য ঘটে যাওয়া ধর্ষণকাণ্ডে সহযোগিতায় ছিল ২ নং বিবাদী মো. সোহেল।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সজীব বৃষ্টির ধর্ষণকান্ডে এলাকার সম্মানিত পরিবারের সদস্যকে জড়িয়ে কুচক্রী ও স্বার্থন্বেষী মহল যা ঘটিয়েছেন তা আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের সামিল বলে মন্তব্য করেছেন, এটিভি সংবাদের সম্পাদক এস এম জামান। তিনি বলেন, সত্য একদিন উদঘাটিত হবে আর সেদিন কুচক্রী ও স্বার্থন্বেষী মহলের মুখোশ হবে উন্মোচিত।
দেশে প্রচলিত আইন রয়েছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এ দেশের সচেতন মহল। তাঁরা বিশ্বাস করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সঠিক তদন্ত শেষে প্রকৃত দোষীর মুখোশ উন্মোচন করতে সচেষ্ট হবেন।