আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এটিভি সংবাদ :
ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে প্রায় ছয় মাস ধরে দুর্ভিক্ষের ক্রমবর্ধমান আশঙ্কার মধ্যে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজা সমুদ্র সৈকতে বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ১৮ জন ডুবে এবং পদদলিত হয়ে মারা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর গাজায় ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের সহায়তার জন্য বিমান থেকে ত্রাণের বস্তা ফেলা হচ্ছিল। এর মধ্যে কয়েকটি বস্তা বেইত লাহিয়া সাগরে পড়ে যায়। এসব ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে সমুদ্রে ডুবে ১২ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে পদদলিত হয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিমান থেকে সমুদ্রে ফেলা ত্রাণ সংগ্রহের জন্য সৈকতে অনেকে দৌড়াচ্ছেন। এ ছাড়া কিছু মানুষকে সমুদ্র থেকে মরদেহ তুলে বালুতে রাখতেও দেখা গেছে।
“তিনি তার সন্তানদের জন্য খাবার পেতে সাঁতার কেটেছিলেন এবং তিনি শহীদ হয়েছিলেন,” সৈকতে দাঁড়িয়ে থাকা একজন ব্যক্তি তার নাম প্রকাশ না করে বলেছেন।
“তাদের (ওভারল্যান্ড) ক্রসিংয়ের মাধ্যমে সাহায্য সরবরাহ করা উচিত। কেন তারা আমাদের সাথে এমন করছে?”
সাহায্য এজেন্সিগুলি বলছে যে, হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার ফলে ইসরায়েল বিমান ও স্থল আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার ফলে প্রয়োজনীয় সরবরাহের মাত্র এক পঞ্চমাংশ গাজায় প্রবেশ করছে, যা ছিটমহলের সরবরাহ ব্যবস্থাকে তছনছ করে দিয়েছে, ইতিমধ্যেই এর কিছু অংশ দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
তারা বলেছে যে, হামাস-চালিত গাজার সমুদ্র সৈকতে সরাসরি বিমান বা সমুদ্রপথে সরবরাহ ইসরায়েল বা মিশর হয়ে স্থলপথে আসা বর্ধিত সরবরাহের বিকল্প নয়।
সোমবারের প্লেন থেকে ফেলা ত্রাণের সাথে উদ্ধার করা কাগজের টুকরো আরবি ভাষায় লেখা একটি আমেরিকান পতাকার উপরে বলা হয়েছে যে, সাহায্যটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে।
সূত্রঃ মিডেল ইস্ট মনিটর