অনুসন্ধানী প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ
বিয়েতো খেলনা নয়, এখন খেলনায় রূপান্তরিত করেছে একশ্রেণীর স্বার্থলোভী মানুষেরা। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ পাবার আশায় সাড়ে ৪ বছর আগে বিয়ে করেছিলো এক যুবক। পদ না পেয়ে এতোদিনের ভালবাসাকে জলাঞ্জলি দিয়ে, বিয়েকে অস্বীকার করে এখন গা ঢাকা দিয়েছে সেই যুবক। এটিভি সংবাদের প্রতিবেদনে রয়েছে বিস্তারিত।
২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক ৫ লাখ ১ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার বাসিন্দা সুমনা আক্তার কনাকে বিয়ে করেছিলো ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আল মুনাদি। ছাত্রলীগ নেতা আল মুনাদি ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিত্বের আশায় বিয়ে করেও সাড়ে ৪ বছর গোপন রেখেছিলো বউকে। বিয়ের বিষয় প্রকাশ করলে ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে নাম আসবে না বলে বুঝিয়েছে স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের।
গত সাড়ে ৪ বছর গোপনে তাদের স্বামী স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্ক চললেও ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে আল মুনাদির নাম না আসায় হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে গিয়েছ আল মুনাদি। স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে স্ত্রীকে অস্বীকার করে এখন ঘা ঢাকা দিয়েছে মানুষ নামের এ জানোয়ারটি।
বিয়ের সমস্ত প্রমানাদি থাকার পরেও হঠাৎ মুনাদির স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছেন সুমনা আক্তার কনা।
নিজের অধিকার আদায় করতে সুমনা আক্তার কনা তার মাকে নিয়ে ১১/০৬/২০২২ ইং আল মুনাদির খোঁজে তার বাসায় গেলে গেইটে তালা দেখতে পায় সুমনা। সুমনা আল মুনাদির বন্ধুবান্ধবদের জিজ্ঞেস করলে মুনাদি ইতালি চলে গেছে বলে জানান তার বন্ধুরা।
এ বিষয়ে সুমনা আক্তার কনা তার মাকে নিয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি অভিযোগ লিখতে গেলে সরাসরি মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।
বিয়ের সাড়ে ৪ বছর ঘরে তোলার অপেক্ষায় রেখে স্ত্রীকে অস্বীকার করে ঘা ঢাকা দেওয়া আল মুনাদি যদি সুমনাকে ঘরে না তুলে সেক্ষেত্রে আত্মহত্যা ছাড়া উপায় থাকবে না বলে জানিয়েছে, আল মুনাদির স্ত্রী সুমনা আক্তার কনা।
মানুষ কতটা অমানুষ হতে পারে তার নজির দেখিয়েছে আল মুনাদি। স্বার্থলোভী এ অমানুষটি দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন, এটিভি সংবাদের সম্পাদক এস এম জামান। তিনি বলেন কোনো প্রকার দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায়ভার এড়াতে পারেন না ছাত্রলীগের নেতা আল মুনাদি।