সৈকত মনি, এটিভি সংবাদ
বাংলার মানুষের কাঙ্খিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন হচ্ছে আগামীকাল। সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ঘিরে নদীর দু’পাড়েই সাজ সাজ রব। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সবাই। ধারণা করা হচ্ছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যোগ দেবেন ১০ লাখ মানুষ। অনুষ্ঠান নির্বিঘ্ন করতে থাকছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয়।
মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে থাকছে ফলক উন্মোচোন, সুধী সমাবেশসহ বিভিন্ন আয়োজন। আর মাদারীপুরের বাংলাবাজারে উদ্বোধনের মূল অনুষ্ঠান রাখা হয়েছে। থাকছে জনসমাবেশও। এ জন্য ঘাটের ৮ কিলোমিটার জুড়ে সাত শতাধিক মাইক স্থাপন করা হয়েছে।
বিশাল আয়োজনের জনসমাগমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনসহ দূরদূরান্তের অতিথিরাও অংশ নেবেন। এজন্য নিরাপত্তার কঠোর বলয়ে রাখা হয়েছে গোটা অনুষ্ঠান।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে র্যাবসহ সাড়ে পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্য। এজন্য সাজানো হয়েছে ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা বলয়। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ও অপপ্রচার রোধে গ্রহণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ নজরদারি ব্যবস্থা।
পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, একটি মহল নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কিছু ঘটিয়ে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছে। সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় শুধু পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরেই নয়, নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে রাজধানীসহ সারা দেশেই। এছাড়া সেতুর দুই প্রান্ত সমাবেশস্থলসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে র্যাবের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড দ্বারা সুইপিং করা হবে। র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত থাকবে।
উল্লেখ্য, ২৫ জুন সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সুধী সমাবেশে যোগ দেবেন। পরে সেখানে মোনাজাত হবে। পরে সেতু দিয়ে পার হবেন পদ্মা নদী। জাজিরা প্রান্তে ফলক উন্মোচন করে যোগ দেবেন আওয়ামী লীগের জনসমাবেশে।
সেতু উদ্বোধনের দিন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশ জুড়ে থাকবে উৎসব আমেজ।