ফরিদপুর প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
ঈদের দিন ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই ইউনিয়নবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। ঈদের দিন রাত ৮টার দিকে পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ডে ভাঙ্গার মানিকদাহ ও হামেরদী ইউনিয়নবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আহতদেরকে উদ্ধার করে উদ্ধার করে ভাঙ্গা ও সদরপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া ঈদের দিন বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার গুলবন্দী, কালামৃর্ধা ও মালিগ্রাম তুচ্ছ ঘটনা ও বাজি ফোটানো নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ঈদের দিন বিকেলে হামেরদী ইউনিয়নের সেনকান্দা গ্রামের কুটি মিয়ার ছেলে শুকুর মিয়া স্ত্রী ও বোনকে নিয়ে মানিকদাহ ইউনিয়নের পুকুরিয়া রেললাইনের উপর ঘুরতে যান। এ সময় মানিকদাহ ইউনিয়ন ব্রাহ্মণকান্দা গ্রামের লাভলুর ছেলে এনামুলও ঘুরতে যান।
শুকুর আলীদের পেছনে হাটা নিয়ে এনামুলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে শুকুর আলী তার লোকজন নিয়ে পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ডে এসে এনামুলকে দোকান থেকে ধরে নিয়ে মারধর করেন। এনামুলকে মারধরের সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মানিকদাহ ইউনিয়নের ৪ গ্রামবাসী একত্রে হয়ে হামেরদী ইউনিয়নের সেনকান্দার ১১ গ্রামবাসীর ওপর হামলা করে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের শত শত লোক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে পুকুরিয়া বাজারের ১০-১৫টি দোকান ভাঙচুর ও ২-৩টি দোকানের মালামাল লুটপাট করা হয়। সংঘর্ষে উভয় দলের ৩০ জন লোক আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
এদিকে ঈদের দিন রাতে ঘারুয়া ইউনিয়নের রশিবপুরা গ্রামের এক কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে চান্দা ইউনিয়নের পাঁচকুল গ্রামের আরেক কিশোর গ্যাং মালিগ্রামে ঘুরতে গিয়ে কাটাকাটি হয়। পরে ২ গ্রাম থেকে শত শত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এতে ১০ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা আহত হয়। তবে কি নিয়ে যে ঘটনা তারা কেউ মুখ খুলে বলছে না।
এসব ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ওসি মামুন আল রশিদ জানান, ঈদের দিন রাতে পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ডে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে কয়েক গ্রামবাসীদের সংঘর্ষ হয়। সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি শান্ত করি। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।
এছাড়া মালিগ্রাম, কালামৃর্ধাসহ কয়েক জায়গায় মারামারিসহ বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। আমরা নিয়ন্ত্রণে দিনরাত কাজ করছি বলে জানান ওসি মামুন আল রশিদ।