কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
টানা বর্ষণের সঙ্গে উজানের ঢলে ফুলে ফেঁপে উঠছে ব্রহ্মপুত্র। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ডুবতে শুরু করেছে ফসল। প্লাবিত হচ্ছে নিন্মাঞ্চল, দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। ভাঙ্গনের শিকার হয়ে ঘরবাড়ি হারিয়ে দিশাহারা মানুষ। ফসল ডুবছে, এই চিন্তায় হতাশায় কৃষক। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে চিলমারী পয়েন্টে বিপদ সীমার ১২ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ফুলে ফেঁপে উঠেছে ব্রহ্মপুত্র। টানা বৃষ্টির সঙ্গে উজানের ঢলে তলিয়ে যাচ্ছে নিন্মাঞ্চল। ডুবছে একের পর এক ফসলি জমি। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে নদীর তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। ভাঙ্গনে বাড়িঘর হারিয়ে দিনের পর দিন মানুষ হচ্ছে নিঃস্ব, দেখা দিয়েছে হাহাকার।
শুধু তাই নয় পাট ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলি ও সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকের চোখে নেমে এসেছে অন্ধকার। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নিন্মাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নিন্মাঞ্চলের রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
সরজমিন চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের তীরবর্তী চিলমারী, নয়ারহাট, অষ্টমীরচর, রমনা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদ পানিতে ভরপুর হয়ে নিন্মাঞ্চল তলিয়ে গিয়েছে, তলিয়ে গিয়েছে ফসলি জমি সঙ্গে ভেঙ্গে নিচ্ছে বসতবাড়ি, বিভিন্ন স্থাপনা ও ফসলি জমি। নদীর তীরবর্তী ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে হাহাকার। বান্ডালের চরের কৃষক ইউসুফ, আমিনুলসহ অনেকে জানান, পানি বৃদ্ধি ফলে পাট ক্ষেত, ভুট্টা ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলি ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে এতে করে চরাঞ্চলের কৃষকদের কোটি কোটি টাকা লোকসানে পড়তে হবে। দক্ষিণ খাউরিয়া, ফেইসকা, উত্তর খাউরিয়া, দুই শত বিঘা, শাখাহাতি, কড়াই বারিশালসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন।
ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষরা জানান, নদী ভাঙ্গন আমাদের সব শেষ করে দিয়েছে, দিয়েছে নিঃস্ব করে। নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে তা স্বীকার করে অষ্টমীরচর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সোহরাব হোসেন বলেন, নদী ভাঙ্গন আর বন্যা আমাদের বড় সমস্যা আর এই কারনে প্রতি বছর শতশত মানুষ হচ্ছে নিঃস্ব আর কৃষকরা হারাচ্ছে সহায় সম্বল।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে প্রয়োজনে ভাঙ্গনের শিকার পরিবার গুলোকে আশ্রয়ন কেন্দ্রে থাকার ব্যবস্থা করা হবে।