ছানোয়ার হোসেন, বাসাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
টাঙ্গাইলের বাসাইলে নানীর বাড়ির ফ্যামিলি পিকনিক শেষে বন্ধুদের সাথে বেড়াতে গিয়ে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় প্রান হারালো মোঃ ইমন মিয়া (১৯) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী।
শুক্রবার(২রা এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টার দিকে পার্শ্ববর্তী সখিপুর উপজেলার সখিপুর-সাগরদীঘি সড়কের কালিয়া ইউনিয়নের বেলতলী বাজার সংলগ্ন স্পীড ব্রেকারে মোটরসাইকেলের গতি সামলাতে না পেরে দূর্ঘটনায় পতিত হয়ে তার মৃত্যু হয়। ইমন উপজেলার বাসাইল সদর ইউনিয়নের নাইকানীবাড়ি গ্রামের খা’বাড়ির প্রবাসী মজিবর রহমানের বড় ছেলে এবং টাঙ্গাইল সৃষ্টি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ সময় মোটরসাইকেল চালক তারেক গুরুত্বর আহত হয়। ইমনের মামাতো ভাই শরিফুল ইসলাম বলেন, বাসাইল এস আর পাড়ায় ইমনের নানার বাড়িতে গতকাল একটি পারিবারিক পিকনিকের সুবাদে ইমনের মা ইতি আক্তারসহ অন্যরা বেড়াতে আসেন। বিকেলে সে তার বন্ধুদের সাথে মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে যায় এবং সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় ইমনের মৃত্যু সংবাদ আসে।
ইমনের আত্মীয় বাশার ইসলাম এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, সমবয়সী বেশ কয়েকজন যুবক কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুতগতিতে স্পীডব্রেকার পার হবার চেষ্টা করছিলো। এ সময় ইমনদের মোটরসাইকেলটি পড়ে যায়। ইমন বাইক থেকে সটকে পড়ে গেলে তার মাথা, নাক এবং কান দিয়ে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়। এসময় স্থানীয়রা ইমন এবং বাইকের চালক তারেককে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমনকে মৃত ঘোষনা করে এবং তারেককে দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হয়।
সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রাজিয়া সুলতানা বলেন, ঘটনার সময় আমি ডিউটিতে ছিলামনা, শুনেছি ঘটনাস্থলেই ইমনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অবস্থায় তারেক নামের একজনকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
সখিপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসান বলেন, কালিয়া এলাকার বেলতলী বাজারের কাছে বেপরোয়া গতির কারণে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় কবলিত হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।