আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
বড় হচ্ছে নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমবার মন্ত্রিসভার বহর বাড়াতে চলেছেন তিনি। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে এর পাকা ঘোষণা আসতে পারে বলে খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর। তার আগে, মঙ্গলবার আট রাজ্যের রাজ্যপাল রদবদল করা হয়েছে।
জানা গেছে, যেসব রাজ্যের রাজ্যপাল বদলানো হয়েছে, সেগুলো হলো- কর্ণাটক, মিজোরাম, গোয়া, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ ও ত্রিপুরা। এর মধ্যে থেবরচাঁদ গেহলটকে ভারতের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে কর্ণাটকের রাজ্যপাল করা হয়েছে।
মোদির মন্ত্রিসভায় এই মুহূর্তে সদস্য রয়েছেন ৫২ জন। অনেক মন্ত্রীর কাছে রয়েছে একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। তাদের এই ভার লঘু করতে আরও ৩১ জনকে মন্ত্রী করা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। আর এই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের একাধিক নেতা।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুসারে, এলজেপি নেতা পশুপতি কুমার পরস এবং জেডিইউ নেতা আরসিপি সিংয়ের নাম নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। জেডিইউ দলের চারজনকে মন্ত্রী করার দাবি জানালেও তাদের দুইজনকে মন্ত্রী করা হতে পারে।
শোনা যাচ্ছে, মন্ত্রী হতে পারেন নিশীথ প্রামাণিক। বেশ কয়েকদিন ধরেই তিনি দিল্লিতে রয়েছেন। এর আগে দিল্লিতে তার সঙ্গে কথা বলেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। রাজবংসী ভোট ধরে রাখার ক্ষেত্রে নিশীথ বড় ভূমিকা পালন করেছেন উত্তরবঙ্গে।
শান্তনু ঠাকুরও মোদির মন্ত্রিসভার সদস্য হতে পারেন। তিনি সপরিবারে দিল্লি গিয়েছেন বলে জানা গেছে। মতুয়া ভোট ধরে রাখতে এই পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
নিশীথ-শান্তনু ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের আরও বেশ কয়েকজনের নাম নিয়ে জল্পনা চলছে। লকেট চ্যাটার্জি, জগন্নাথ সরকারদের নিয়ে গুঞ্জন বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে।
মোদির পাশে লকেট চ্যাটার্জি
এছাড়া, দীর্ঘদিন ধরে মন্ত্রিত্বের আশায় বসে থাকা মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস-ত্যাগী নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, বিহারের বিজেপি নেতা ও সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি, উত্তর প্রদেশের রীতা বহুগুনা যোশি, বরুণ গান্ধী ও আপনা দলের প্রধান অনুপ্রিয়া প্যাটেলের নামও উঠে আসছে আলোচনায়।
বিজেপি সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য রদবদলের কারণেই বিজেপি সংসদ সদস্যদের আগেভাগে রাজধানীতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি কয়েকদিনের জন্য ইন্দোরে গিয়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য। কিন্তু দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তলব পেয়ে সেই সফর কাটছাঁট করে দ্রুত দিল্লি পৌঁছান তিনি।
আগামী বছরের শুরুতে ভারতের পাঁচ রাজ্য উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, মনিপুর ও পাঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তার আগেই প্রশাসনিক ভাবমূর্তি ফেরাতে চাইছে মোদি সরকার।