atv sangbad

Blog Post

atv sangbad > সারাদেশ > সুন্দরগঞ্জে স্কুল মাঠে ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ খেলাধুলা বন্ধ

সুন্দরগঞ্জে স্কুল মাঠে ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ খেলাধুলা বন্ধ

হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা), এটিভি সংবাদ :
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জিরো পয়েন্টে অবস্থিত নাজিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের বিশাল আকৃতির একটা আমগাছ গত দুই বছর আগে কালবৈশাখী ঝড়ে পড়ে যায়। আজও গাছটি সরানো বা নিলামে বিক্রির ব্যবস্থা করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সে কারণে স্কুল মাঠে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি মরা শুকনো গাছের ডালপালার নিচ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকসহ স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত উৎকন্ঠায় রয়েছে। পড়ে থাকা গাছটি দ্রুত সরানো দাবি তাদের।
স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহরিমা আক্তার ভাষ্য গাছটি পড়ে থাকার কারণে খেলাধুলা ও সমাবেশ করতে পারছে না। তাছাড়া মরা গাছের শুকনো ডাল ভেঙে পড়ছে প্রতিদিন।  গাছের নিচ দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না। দুর্ঘটনার ভয়ে অনেকে পড়ে থাকা গাছের নিচে যেতে সাহস পায় না।
অভিভাবক আনোয়ার ইসলামের ভাষ্য দীর্ঘদিন ধরে গাছটি সরানোর ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কোন কাজ করছেন না তিনি। স্কুলের ছেলে-মেয়েদের চলাচলের গতি নষ্ট হয়ে গেছে। সেই সাথে খেলাধুলা করতে পারছে না তারা। সবচেয়ে বড় কথা মরাগাছের ডাল ভেঙে ছেলে-মেয়েদের মাথায় পড়লে বড় ক্ষতি হবে।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আমজাদ হোসেনের ভাষ্য, গাছটি পড়ে যাওয়ার সাতদিনের মধ্যে কমিটির সদস্যদের নিয়ে আলোচনা করে গাছটি সরানোর সিদ্ধান্তের রেজুলেশন শিক্ষা অফিসে জমা দেয়া হয়েছে। গত দুই বছরেরও কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তিস্তা নদী পার হয়ে উপজেলা শহর হতে প্রায় ২০ কিলোমিটার স্কুলটির অবস্থান। যার জন্য কর্তৃপক্ষের উদাসিনতার কারণে এ অবস্থা দাবি সভাপতির।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল কাদেরের ভাষ্য গাছটি সরানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বহুবার শিক্ষা অফিসারকে লিখিত ও মৌখিকভাবে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মো. আশিকুর রহমানের ভাষ্য গাছটি নিলামের জন্য নিলাম কমিটির নিকট উপস্থাপন করা হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আনোয়ারুল ইসলামের ভাষ্য বন বিভাগের কর্মকর্তা গাছের মূল্যে নির্ধারণ করে দেয়ার পর নিলামের অনুমতি প্রদান করা হয়। সে কারণে বিলম্ব হচ্ছে। আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে গাছটি নিলামের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসানের ভাষ্য ওই স্কুলের কোন কাগজপত্র তার দরপ্তরে আসে নাই। আসলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :