নিজস্ব প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
আদিবাসী শিশু গৃহকর্মী প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে বিবেচনা করে জড়িতদের বিচারসহ ১০ দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রীতি উরাংয়ের ‘অস্বাভাবিক মৃত্যুর স্বাধীন, নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দ্রুত বিচার’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবিরের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার কর্মী ড. হামিদা হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন, নারীনেত্রী শিরীন হক, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা কাজল দেবনাথ, অ্যাডভোকেট তবারক হোসেন, লেখক রেহনুমা আহমেদ, প্রিসিলা রাজ, ফারহা তানজীম তিতিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বহুতল ভবনের আট তলা থেকে পড়ে প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যু হয়। ডেইলি স্টারের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় গৃহকর্মী ছিল সে। এ ঘটনায় পরদিন প্রীতির বাবা লোকেশ উরাং মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় সৈয়দ আশফাকুল হক ও তাঁর স্ত্রী তানিয়া খন্দকার বর্তমান কারাগার।
ঘটনার সরেজমিন অনুসন্ধানের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মোহাম্মদপুরের ওই ফ্ল্যাট থেকে গত বছর ৪ আগস্ট আরেক গৃহকর্মী পড়ে গিয়েছিল বা লাফ দিয়েছিল। সে আজও বেঁচে আছে। সাত বছর বয়সী ওই শিশুর মেডিকেল রিপোর্টে যৌনাঙ্গে একটি গভীর ক্ষত এবং সেখানে অস্ত্রোপচার করার তথ্য উল্লেখ রয়েছে। অথচ শিশুটির মা-বাবাকে না জানিয়ে এ অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
খুশী কবির বলেন, প্রত্যেকের জীবনের মূল্য আছে। একজন শিক্ষিত, দায়িত্ববান ব্যক্তির বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটেছে মানে প্রতিটি বাড়িতে অহরহ এসব হচ্ছে, কিন্তু আমরা জানি না। আমরা আর এসব সহ্য করব না।
অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে– প্রভাবমুক্ত ও স্বচ্ছ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি, প্রীতির পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও নিরাপত্তা, আশফাকুল হকের বাসা থেকে লাফ দিয়ে বেঁচে যাওয়া শিশুর চিকিৎসা-শিক্ষা ও ক্ষতিপূরণ, চা বাগান থেকে আনা শিশুদের পাচার ও যৌনদাস করার ক্ষেত্রে কোনো চক্র কাজ করছে কিনা তা দেখা, গৃহকর্মীর সুরক্ষায় সারাদেশে মনিটরিং সেল গঠন ইত্যাদি।