atv sangbad

Blog Post

atv sangbad > অপরাধ-অনুসন্ধান > ইউপি চেয়ারম্যান আছাদুর রহমানের বিরুদ্ধে ৮ মেম্বারের অভিযোগ!

ইউপি চেয়ারম্যান আছাদুর রহমানের বিরুদ্ধে ৮ মেম্বারের অভিযোগ!

চেয়ারম্যানের দুর্নীতির নেপথ্যে পাবনা-৩ আসনের সাংসদ  

অনুসন্ধানী প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ 

পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলাধীন খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সাক্ষ্য-প্রমাণ দিলেন একই ইউনিয়নের আটজন ওয়ার্ড মেম্বার।

গত মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবনার সমন্বিত কার্যালয়ে ওয়ার্ড মেম্বারদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি চেয়ারম্যান আছাদুর রহমানের বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ করেন। তারা লিখিতভাবে পাবনা দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছিলেন।

jagonews24

মেম্বারদের অভিযোগ, গত চার বছরে অনিয়ম করে চেয়ারম্যান বড় অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তারা চেয়ারম্যানের বিচারের দাবি জানান।

অভিযোগ করা মেম্বাররা জানান, তারা চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীদের ভয়ে দুর্নীতি-অনিয়ম বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেন না। বাধ্য হয়ে সব মেম্বাররা একজোট হয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করেছেন। মেম্বারদের ভাষ্য, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যায় না। কথা বললেই মামলা করে আমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্থ করেন। আমাদের বিরুদ্ধে ক’দিন আগে চেয়ারম্যান বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন, আমরা সে মামলার এখন হাজিরা দিচ্ছি বলে জানান ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার আলমগীর হোসেন ডালু।

এটিভি সংবাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদকের সাথে ইউপি চেয়ারম্যান আছাদুর রহমানের ব্যবহৃত মুঠোফোনে (০১৭১৮-৫০৪২৩৯) কথা হয়। অভিযোগের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বার বার এড়িয়ে যান এবং বলেন, আমার বিষয়ে ভালো জানেন আমার এমপি মহোদয়। এলাকা থেকে অনুসন্ধানে জানা যায়, পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের ছত্রছায়ায় চেয়ারম্যান আছাদুর রহমান চালিয়ে যাচ্ছেন তার অপকর্ম ও দুর্নীতি। একজন মুক্তিযোদ্ধার দুর্নীতির চিত্র পুরো এলাকাবাসীকে ভাবিয়ে তুলছে।

ইউপি চেয়ারম্যান আছাদুর রহমান বলেন, মেম্বারদের দায়েরকৃত অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁরা তাদের অভিযোগ তুলে নিয়েছেন। অথচ মেম্বারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অভিযোগ তোলা হয়নি। চেয়ারম্যান যা বলেছেন, সব মিথ্যা বলেছেন।

দুদকের সমন্বিত কার্যালয় পাবনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযোগকারী খানমরিচ ইউপি সদস্যদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আমরা আশা করছি- দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মেম্বারদের আনীত অভিযোগের বিষয়টি সঠিক তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, অন্যথায় সচেতন মহলের কাছে হবে প্রশ্নবিদ্ধ।

চোখ রাখুন এটিভি সংবাদে। আমরা আসছি আরো লোমহর্ষক তথ্য নিয়ে……..পর্ব-২   

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :